একে দুর্মূল্য বাজারে রোগীর জন্য বরাদ্দ টাকায় খাবার দিতে হিমশিম খাচ্ছিল দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠী। তার উপরে তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে রান্না করছে বলে ঘর ভাড়া চেয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। তিতিবিরক্ত হয়ে রান্নার কাজই বন্ধ করে দিয়েছে ওই গোষ্ঠী। ফলে গত এক মাস ধরে খড়িপুকুরিয়ায় ১০ শয্যা বিশিষ্ট কাঁথি ৩ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রোগীরা কোনও খাবার পাচ্ছেন না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি রোগীদের আত্মীয়-স্বজনরা বাড়ি থেকেই খাবার নিয়ে আসছেন দু’বেলা।
কাঁথি ৩ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এতদিন খাবার পরিবেশন করত দুরমুঠ স্বাধীন স্বপ্ন সঙ্ঘ নামে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। দলের সভানেত্রী নীলিমা মণ্ডল জানান, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগীদের খাবারের জন্য যে টাকা বরাদ্দ আছে (প্রায় ৫০ টাকা) তাতে তিন বেলা খাবার পরিবেশন সম্ভবপর নয়। এ কথা বারবার স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও লাভ হয়নি। নিলীমাদেবী বলেন, “তার উপরে দুরমুঠ থেকে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে। বাসে করে গিয়ে হয়তো দেখলাম, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মাত্র একজন রোগী। কোনও দিন হয়তো কেউ নেই। পরিত্যক্ত একটি ঘরে রান্না হত। ওই ঘরের জন্য বিএমওএইচ সাহেব ভাড়া চান। দেড়শো টাকা হলেও আর টানতে না পেরে গত ১৩ এপ্রিল থেকে রান্না বন্ধ করে দিই।” ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বিক্রম পণ্ডা সামান্য টাকা ভাড়া হিসাবে নেওয়ার কথা মেনে নিয়েছেন। কিন্তু ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠী চলে যাওয়ার পর খাবার পরিবেশনের জন্য বিকল্প কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি উচ্চমহলে জানিয়েছি। যা ব্যবস্থা নেওয়ার তারাই নেবেন।” সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তরুণকান্তি খাটুয়া অবশ্য রান্নার জন্য ঘর ভাড়া নেওয়া হচ্ছে শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “এটা একেবারেই উচিত নয়। তবে এই নিয়ে আমার কাছে এখনও কোনও অভিযোগও আসেনি।” |