অবৈধ ভাবে নার্সিংহোম খোলার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সিল করে দেওয়া হয়েছে নার্সিংহোমটিকেও। বৃহস্পতিবার হিঙ্গলগঞ্জের যোগেশগঞ্জ বাজার এলাকায় ওই নার্সিংহোমে হেমনগর কোস্টাল থানার পুলিশ গিয়ে নার্সিংহোমের মালিক-সহ এক হাতুড়ে চিকিৎসককে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দু’জনের নাম লুৎফার রহমান মোড়ল এবং আতিয়ার রহমান মোল্লা। লুৎফার ওই নার্সিংহোমের মালিক। বাড়ি বাসন্তীতে। আতিয়ারের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত পাণ্ডে বলেন, “নার্সিংহোমটির লাইসেন্স এবং ওই চিকিৎসকের শংসাপত্র ছিল না। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার কার হয়েছে। লাইসেন্স বিহীন নার্সিহোমগুলির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পুলিশকে বলা হয়েছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায় তিনটি বেআইনি নার্সিংহোম ছিল। সেখানে পাঁচ-দশ হাজার টাকার চুক্তিতে বিভিন্ন রকমের অপারেশন করা হত। সম্প্রতি অন্য একটি নার্সিংহোমে এক মহিলার মৃত্যুর পর এই নিয়ে গণ্ডগোল শুরু হয়। পুলিশ গিয়ে সেই নার্সিংহোমটি সিল করে দেয়। এ দিন আরও একটি নার্সিংহোম সিল করে দেওয়া হয়। তবে এখনও যোগেশগঞ্জ-সহ হিঙ্গলগঞ্জে বেশ কিছু বেআইনি নার্সিংহোম রয়েছে বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি ব্লক মেডিক্যাল অফিসার অঞ্জন মল্লিকের কাছে এই সংক্রান্ত অভিযোগ এলে তিনি তা জানান মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং পুলিশকে। শুক্রবার যোগেশগঞ্জ এলাকায় একটি স্বাস্থ্য শিবির চলাকালীন এই নার্সিংহোমটির সম্পর্কে স্বাস্থ্যকর্তারা জানতে পারলে পুলিশ নিয়ে যান ওই হাসপাতালে। নার্সিহোম কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না দেখাতে পারায় মালিক ও চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়।
ওই নার্সিংহোমে থাকা তিন রোগীকে ভর্তি করানো হয়েছে যোগেশগঞ্জ হাসপাতালে। |