|
|
|
|
মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বৈঠক পুরসভায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
রাজীব আবাস যোজনার মাধ্যমে বস্তি মুক্ত শহর তৈরি করতে আগেই পাঁচটি ওয়ার্ডকে পাইলট প্রকল্পের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছিল। কী ভাবে পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে তা নিয়ে শুক্রবার কলকাতা থেকে আসা এক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। পাশাপাশি শহরের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ‘মাস্টার প্ল্যান’ তৈরির জন্যও এ দিন দিল্লি থেকে আসা একটি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা হয়। এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন মেয়র পারিষদ, তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মা, বিরোধী দলনেতা নুরুল ইসলাম।
রাজীব আবাস যোজনায় শহরকে আওতাধীন করতে পাইলট প্রকল্পের জন্য পাঁচটি ওয়াডর্কে চিহ্নিত করা হয়েছিল প্রায় এক বছর আগে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে কোনও কাজ শুরু হয়নি। এ দিন নতুন করে প্রতিটি ওয়ার্ডের সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ম্যাপ তৈরি-সহ অন্য পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে পুরবোর্ডের এই ‘টালমাটাল’ পরিস্থিতিতে আদৌ এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আলোচনায় পাইলট প্রকল্পটি বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছে তা জানতে চাইলে কোন উত্তর মেলেনি। কার্যত এই প্রকল্প বিশবাঁও জলে।” একই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন,“পাইলট প্রকল্পের জন্য এখনও ডিপিআর তৈরি হয়নি, তবে পুরো কাজ হবে কী ভাবে?” তাঁর অভিযোগ, সংখ্যালঘু বোর্ড কোনও কাজ করতে পারছে না, এই অবস্থায় শহরবাসীর দৃষ্টি ঘোরাতেই এই বৈঠক করছেন মেয়র।
রাজীব আবাস যোজনায় শহরে থাকা বস্তিগুলিতে বাড়ি তৈরি বা পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। তার মধ্যে বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ আর্থিক সাহায্য করবে কেন্দ্র। ২০ শতাংশ মিলবে রাজ্য সরকারের তরফে। ১২ শতাংশ দেবে বাড়ির প্রাপক। বাকি ১৮ শতাংশ পুরসভার তরফে। পরিকাঠামো তৈরিতে জনসাধারণকে কিছু দিতে হবে না। কেন্দ্র রাজ্য পুরসভার তরফে দেওয়া হবে। পাশাপাশি এই প্রকল্পে ঘর পেতে হলে প্রাপকের নিজস্ব জমির মালিকানা থাকা বাধ্য। কিন্তু শহরের বেশির ভাগ বস্তিগুলি রয়েছে রেলের জমি, পূর্ত দফতরের জমিতে। এই জমির মালিকানা না পাওয়া পযর্ন্ত কোনভাবেই প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাবে না। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে তা নিয়ে সব মহলেই সংশয় রয়েছে। তবে এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। শহরকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য এ দিনও বৈঠক হয় বলে জানান তিনি। |
|
|
|
|
|