|
|
|
|
লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তে বিশেষ দল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
সারদা গোষ্ঠী-সহ অন্য লগ্নি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে হওয়া মামলার তদন্ত করতে এক ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে বিশেষ দল গঠন করল শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট। আজ, শনিবার থেকে ওই দল তদন্তের দায়িত্বভার নেবে। পুলিশ সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত শিলিগুড়ি থানা ও ভক্তিনগর থানায় সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ছ’টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে সারদা ছাড়াও অ্যানেক্স, সুরাহা গোষ্ঠী রয়েছে। বেশ কয়েক মাস আগে ‘সেভেন স্টার’ নামে একটি সংস্থার বিরুদ্ধেও প্রতারণার অভিযোগ হয়। সে মামলাও দেখবে ওই তদন্তকারী দল।
শিলিগুড়ির অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এ রবীন্দ্রনাথ বলেন, “অর্থলগ্নিকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে যে সমস্ত এফআইআই হয়েছে ইতিমধ্যে সেগুলি তদন্তের কাজ শুরু করা হয়েছে। বেশ কিছু জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শনিবার থেকে পুলিশের একটি বিশেষ দল ওই ঘটনাগুলির তদন্ত করবে।” পুলিশের এক কর্তা জানান, অর্থলগ্নিকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে যে ভাবে অভিযোগ উঠছে তাতে, শীঘ্রই মামলার সংখ্যা বেড়ে যাবে বলে ধারণা করছে পুলিশ। সে জন্য তদন্তে গতি আনতে ওই বিশেষ দল গঠন হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, লগ্নি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি থানায় চারটি এবং ভক্তিনগর থানায় দুটি মামলা হয়েছে। প্রত্যেকটি মামলায় আলাদা আলাদা তদন্তকারী অফিসার রয়েছে। ইতিমধ্যে সারদা’র সেবক রোডের অফিস, খাপরাইলের ফ্ল্যাট সিল করে দিয়েছে পুলিশ। বেশ কিছু কাগজপত্র, গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সারদা গোষ্ঠীর একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছে। অ্যানেক্স-এর অফিস সিল করে দেওয়া হয়েছে। ওই সংস্থার মালিক প্রসেনজিৎ মজুমদারের বাড়ি সিল করে দেওয়ার পাশাপাশি দুটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার একটি অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকা পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি, ওই সংস্থাগুলির নামে থাকা জমি যাতে বিক্রি না হয় সে ব্যাপারেও রেজিস্ট্রারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এই অবস্থায়, সমস্ত কাগজপত্র সহ তদন্তভার তুলে দেওয়া হবে ওই বিশেষ দলের হাতে। ওই বিশেষ দলে শিলিগুড়ির কোর্ট ইন্সপেক্টর বিপুল বন্দ্যোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি থানার এক সাব ইন্সপেক্টর শান্তনু সরকার এবং একজন এএসআই ও দু’জন কনস্টেবল রয়েছেন। |
|
|
|
|
|