|
|
|
|
বাড়তি সুদের সারদা-ফাঁদে স্টেট ব্যাঙ্কের প্রাক্তন কর্তাও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সারদা রিয়েলটিতে তিন লাখ টাকা লগ্নি করেছিলেন ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত এক অফিসারও। বাড়ি ব্যারাকপুরে। সারদা কাণ্ডের জেরে গঠিত তদন্ত কমিশনে শুক্রবার বাবার হয়ে অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন তাঁর মেয়ে। তিনি নিজেও জীবনবিমা নিগমের হাউসিং অ্যান্ড ফিনান্স বিষয়ক অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করেন। এত দিন ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত থাকার পরেও কেন এই ভুল করলেন তাঁর বাবা, তা এখনও বুঝে উঠতে পারেননি ওই তরুণী। এ দিন কমিশনের অফিসে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “বোনের বিয়ের জন্য অবসরের সময়ে পাওয়া টাকা বাবা ব্যাঙ্কে ‘ফিক্সড্ ডিপোজিট’ করতে চেয়েছিলেন। পাড়ারই এক পরিচিত যুবক ওই টাকা সারদার সংস্থায় রাখার জন্য বাবাকে অনুরোধ করেন। বেশি সুদ দেওয়ার কথা জানান। তাতেই রাজি হয়ে যান বাবা। ২৫ জুলাই ওই টাকা ফেরত পাওয়ার কথা ছিল।”
শুধু ওই তরুণীর বাবা নন, সব জেনেশুনে বেশি সুদের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন বহু মানুষ। কমিশন সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ক ও জীবনবিমা নিগম থেকে মেয়াদ শেষের আগেই টাকা তুলে তা সারদার কারবারে ঢালার অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে। বেশি সুদের লোভে বারুইপুরের গোপাল মণ্ডল সারদায় টাকা ঢেলেছেন স্ত্রীর সোনার গয়নাও বিক্রি করে। এখন নিঃস্ব হয়ে ছুটে এসেছেন কমিশনে।
কমিশনে এ দিন ২৩ জন আমানতকারী সাক্ষ্য দিয়েছেন। কমিশনের এক কর্তা জানান, কী ভাবে মানুষকে প্রতারিত করা হয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার সেন জানান, ৬ মে, সোমবার থেকে রাজারহাটের নিউটাউনে ফিনান্স সেন্টারে অভিযোগপত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু হবে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার মানুষ সেখানে অভিযোগ জমা দিতে পারবেন। আর উত্তরবঙ্গের বাসিন্দারা শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার কেন্দ্রে অভিযোগ জমা করবেন। স্পিড পোস্ট এবং ই-মেলেও অভিযোগ পাঠানো যেতে পারে। কমিশন জানিয়েছে, এখন থেকে ৫ নম্বর কাউন্সিল হাউস স্ট্রিটের কমিশন অফিসে সরাসরি অভিযোগ জমা নেওয়া হবে না। |
|
|
|
|
|