|
|
|
|
পাঁচিল টপকে পালাল বন্দি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
সাত-সকালে সংশোধনাগারের প্রায় ২৫ ফুট উঁচু পাঁচিল টপকে পালাল এক বিচারাধীন বন্দি। শুক্রবার সকালে তমলুকে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সংশোধনাগারে এই ঘটনাকে ঘিরে হইচই পড়ে যায়। পলাতক বন্দি পঞ্চানন ঘোড়ইয়ের বাড়ি কাঁথি থানার অযোধ্যাপুর গ্রামে। এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অত উঁচু পাঁচিলের উপর সে উঠল কী ভাবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিতরে মেরামতের কাজ চলছিল। সে জন্য ভারা বাঁধা হয়েছিল। সেই ভারা বেয়ে ওই বন্দি পাঁচিলের উপরে উঠে পড়ে। যদিও কারা-কর্তৃপক্ষ এই কথা মানতে চাননি। সংশোধনাগারের সুপার তথা তমলুকের মহকুমাশাসক দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, ‘‘কী করে ওই বন্দি পালাল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।”
নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত পঞ্চাননকে গত ২৪ এপ্রিল পুলিশ গ্রেফতার করে কাঁথি আদালতে তুলেছিল। বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলে বিচারাধীন বন্দি হিসেবে তাকে জেলা সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। |
|
এই পাঁচিল টপকেই পালিয়েছে বন্দি। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ তমলুকের জেলখানার মোড়ে পথচলতি মানুষজন দেখেন কারাগারের উঁচু পাঁচিলের উপর দিয়ে হাঁটছে এক যুবক। লোকজন চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে ওই যুবক প্রথমে পাঁচিলের দেওয়াল ধরে ঝুলে পড়ে। তারপর এক লাফ দিয়ে রাস্তায় পড়ে ও দৌড়ে পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্বনাথ দোলই, শঙ্কর পালরা বলেন, “জেলের পশ্চিম দিকে প্রাচীরের উপর দিয়ে এক যুবক হাঁটছে দেখে চোর চোর বলে চিৎকার করে উঠি আমরা। ওই যুবক তখন লাফ দিয়ে বাইরের রাস্তায় পড়ে এবং দৌড়ে পালায়।” খবর পেয়ে তমলুক থানার পুলিশ শহরে জোর তল্লাশি চালালেও তাকে আর ধরা যায়নি।
এ দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে বন্দি পালানোর পর জেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ দিনই কারা দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে এই সংশোধনাগারে আসেন। তবে, এখনও পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। |
|
|
|
|
|