|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা |
দখল খালধার |
সংস্কারে বাধা |
কৌশিক ঘোষ |
খালধার বেদখল হওয়ায় চেতলার বোট ক্যানাল সংস্কারের কাজ আটকে গেল। কলকাতা পুরসভার নিকাশি দফতর সূত্রে খবর, ন্যাশনাল রিভার গঙ্গা বেসিন অথরিটি ইতিমধ্যেই গঙ্গা এবং আদিগঙ্গা-সহ আশপাশের কয়েকটি খালের সমীক্ষা করেছে। তার মধ্যে চেতলা বোট ক্যানাল ছিল অন্যতম। শহরে বৃষ্টি এবং নিকাশির জল এই খালের মাধ্যমে সরাসরি টলি নালা বা আদিগঙ্গায় গিয়ে পড়ে।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (নিকাশি) রাজীব দেব বলেন, “এই খাল সংস্কারের বেশির ভাগটাই হয়েছে। তবে, খালের ধারের একাংশে অনেক দিন ধরেই বেশ কিছু পরিবার বসবাস করে। এখানে অনেক ঝুপড়িও রয়েছে। তাদের না সরানো পর্যন্ত পুরো কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। বিকল্প ব্যবস্থার কথাও ভাবা হচ্ছে।”
|
|
পুরসভার নিকাশি দফতরের মুখ্য বাস্তুকার অমিত রায়ের কথায়: “বোট ক্যানালের ধারের জায়গাগুলি মূলত অসমতল। ফলে, বৃষ্টির জল দ্রুত বেরনোর ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়। খালের দু’ধারে যদি সমতল নির্মাণ করা হয় সে ক্ষেত্রে জল দ্রুত খালের মাধ্যমে বেরোবে। সেই কারণেই এই খালের দু’ধার বাঁধিয়ে সমান তল তৈরির কথা বলা হয়েছিল। সেই কাজটাই পুরসভা অনেকটা করেছে। তবে এই খালের ধার বরাবর বসতি থাকায় সেখানে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।”
চেতলা বোট ক্যানালের মাধ্যমে দক্ষিণ কলকাতার চেতলা-সহ তারাতলা, খিদিরপুর এবং মোমিনপুর এলাকার নিকাশির জল আদিগঙ্গায় পড়ে। খালধার এবড়ো-খেবড়ো থাকায় অনেক সময়েই জল ঠিক ভাবে খালে পড়তে পারে না। সেই কারণেই এই খালের পাড় বাঁধানোর কাজ করা হচ্ছে। চেতলা বোট ক্যানালে একটি স্লুইস গেটও লাগানো আছে। কারণ, গঙ্গায় জোয়ার-ভাটার সঙ্গে চেতলা বোট ক্যানালে জল ওঠানামা করে। |
|
বর্ষায় গঙ্গার জল বেশি হলে তা এই খালের মাধ্যমে যাতে শহরে প্রবেশ না করে সেই কারণেই এই ব্যবস্থা রাখা রয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, চেতলা বোট ক্যানালের প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। বাদবাকি প্রায় এক কিলোমিটার জায়গায়, মূলত চেতলার নিকাশি পাম্পিং স্টেশনের কাছে খাল ধার বরাবর জনবসতি থাকায় এই কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে, বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারলে এই কাজ করা সম্ভব বলে পুরকর্তৃপক্ষের দাবি। কবে এই কাজ শেষ হবে তার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি এখনও। যদি এই খালের পলি তোলা না হয়, সে ক্ষেত্রে এই ধরনের খালধার সংস্কারে সমস্যার সমাধান হতে পারে? পুরকর্তৃপক্ষ জানান, পুরসভা খাল সংস্কারের সঙ্গে সঙ্গে পলি তোলারও কাজ করেছে যাতে এই খালের নাব্যতা বৃদ্ধি পায়। এই প্রকল্পে খরচ করা হয়েছে প্রায় ৯ কোটি টাকা।
খালধারের বসতি তুলতে পুরসভা কী ব্যবস্থা নিচ্ছে?
পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শহরে যাতে জল না জমে সেই কারণেই খাল পরিষ্কার রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। সেই কাজ কোনও কারণে বাধাপ্রাপ্ত হোক তা আমরা চাই না। বেআইনি ভাবে খালের ধারে কেউ বসবাস করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা ইতিমধ্যেই সমীক্ষা শুরু করেছি।”
|
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য
|
|
|
|
|
|