আইসিসি-কে প্যাঁচে ফেলার চেষ্টা। বোর্ড সভাপতির স্বজনপোষণ। ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। এ বার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে একসঙ্গে এই জোড়া অভিযোগ তুলল ক্রিকেটবিশ্ব, মূলত দক্ষিণ আফ্রিকা।
অভিযোগটা কী? ভারতীয় দলের প্রাক্তন লেগ স্পিনার লক্ষ্মণ শিবারামাকৃষ্ণনকে আইসিসি-র ক্রিকেট কমিটিতে ক্রিকেটারদের প্রতিনিধি করে আনার জন্য ঘুরপথে ফের ভোট করানোর উদ্যোগ নেয় ভারতীয় বোর্ড। ৯-১ ভোটে অস্ট্রেলিয়ার টিম মে নির্বাচিত হয়ে যাওয়ার পরও টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলির বোর্ডকে চাপ দিয়ে ভোটদাতা টেস্ট অধিনায়কদের মনোভাব পাল্টাতে বাধ্য করার অভিযোগও তুলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ টনি আইরিশ, যিনি আবার ফিকারও বোর্ড সদস্য। তাঁর বক্তব্য, “আমাদের বোর্ডে বিসিসিআই থেকে এই সম্পকির্ত ফোন আসার পরই সন্দেহের শুরু। পরে দেখি, তা মোটেই অমূলক নয়।”
এই কমিটিতে ক্রিকেটারদের আর এক প্রতিনিধি শ্রীলঙ্কার কুমার সঙ্গাকারা। দক্ষিণ আফ্রিকার একটি নিউজ পোর্টালের দাবি, টিম মে যেহেতু ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিকার সভাপতি এবং ভারতীয় বোর্ড যেহেতু ফিকাকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ, সে জন্যই তাঁকে সরিয়ে বোর্ড সভাপতি শ্রীনিবাসনের শহরের লোক শিবাকে এই কমিটিতে আনার জন্য মরিয়া তারা। আরও একটা কারণ, এই কমিটির চেয়ারম্যান প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক অনিল কুম্বলে। তার ওপর আরও এক জন ভারতীয় কমিটিতে থাকলে ক্রিকেটের বিভিন্ন নিয়মকানুন, বিশেষত ডিআরএস নীতি নিজেদের সুবিধামতো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বর্তমানে ডিআরএস বা ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমকে টেস্ট ক্রিকেটে আবশ্যিক করার পক্ষে আইসিসি। তাতে সায় নেই ভারতীয় বোর্ডের। ক্রিকেট কমিটিতে শিবা এলে সেই মত প্রতিষ্ঠিত করতে ভারতীয় বোর্ডের সুবিধাই হবে। আপাতত টিম মে ও শিবারামাকৃষ্ণনের মধ্যে ৫-৫ টাই, তখন টাই ভাঙার দায়িত্ব আইসিসি-রই। দু-এক সপ্তাহের মধ্যেই আইসিসি তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে। তার পরই বোঝা যাবে ক্রিকেটবিশ্বে সত্যিই ভারত সুপার পাওয়ার কি না। |