দু’মাস আগে নাক ভেঙেছিল। মুখোশ পরে ম্যাচে নামতেন ‘সুরক্ষার জন্য’। কিন্তু এখন সেই ‘মাস্ক’ই হয়ে দাঁড়িয়েছে ফের্নান্দো তোরেসের লাকি চার্ম।
ফেব্রুয়ারির গোড়ায় চোট লাগার পর তোরেসের সতীর্থ ডেম্বা বা-ও মাস্ক পরে ম্যাচে নামতেন। কিন্তু মাসখানেকের মধ্যে মাস্ক-মুক্ত পুরনো চেহারায় ফিরে আসেন তিনি। তোরেসের তা হলে হলটা কী?
লিভারপুল থেকে ২০১১-তে ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড পারিশ্রমিকে চেলসিতে আসার পর থেকে স্প্যানিশ স্ট্রাইকার কিছুতে ফর্ম ফিরে পাচ্ছিলেন না। এমনকী, চলতি প্রিমিয়ার লিগেও তোরেস শেষ বার জালে বল জড়িয়েছেন প্রায় চার মাস আগে। ২৩ ডিসেম্বর অ্যাস্টন ভিলা ম্যাচে। চিত্রটা বদলাতে শুরু করে নাক ভাঙার পরেই। আগে চেলসির হয়ে প্রতি চার ম্যাচ পিছু একটি গোল ছিল তোরেসের। মুখোশ পরে মাঠে নামার পর সেই পরিসংখ্যানের উন্নতি ঘটেছে। প্রতি ২.৫ ম্যাচ পিছু ১ গোল। |
স্প্যানিশ স্ট্রাইকারের মুখে অবশ্য মুখোশ নিয়ে কুলুপ। তবে বাসেলকে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ইউরোপা লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে চেলসির ৩-১ জয়ে (সব মিলিয়ে ৫-২) প্রথম গোল করে বলছেন, “নিজের ফর্মে আমি খুশি। আরও খুশি হব চেলসি ইউরোপা লিগ জিতলে। সব সময় নিজেকে এই ক্লাবেরই একটা অংশ মনে করি। এই মরসুমে আমিই টিমের প্রধান স্ট্রাইকার। তবে যে লেভেলটা চাইছিলাম এখনও পারফরম্যান্স সেই জায়গায় যায়নি। ক্লাব আমার উপর আশা করে। ক্লাবের সঙ্গে আমার কোনও সমস্যা নেই।”
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ত্রিমুকুট জয়ী ক্লাবের সদস্য হওয়ার বিরল সুযোগ কাজে লাগাতে চেলসিও তাকিয়ে রয়েছে তোরেসের দিকেই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, কাপ উইনার্স কাপ এবং ইউরোপা লিগ জেতার নজির রয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ, জুভেন্তাস, বার্সেলোনা এবং আয়াখসের। ১৫ মে আমস্টারডাম এরিনায় বেনফিকার বিরুদ্ধে জিতলেই চেলসি সেই বিরল ‘পঞ্চকে’ ঢুকে পড়বে।
বৃহস্পতিবার রাতে বাসেল ম্যাচে যে রকম ফর্ম দেখিয়েছেন তাতে তোরেস নিয়ে ভরসা আরও বাড়বে। প্রথম লেগে চেলসি ২-১ এগিয়ে থাকলেও বাসেলকে গত রাতে ১-০ এগিয়ে দিয়েছিলেন মহম্মদ সালেহ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তেরেস ছাড়াও ভিক্টর মোজেস এবং ডেভিড লুইজের গোলে বাসেলের ফাইনালে যাওয়ার কল্পনা আর রূপ পায়নি। অন্য সেমিফাইনালে বেনফিকা ৩-১ (সব মিলিয়ে ৩-২) ফেনেরবাখকে হারায়।
এখন তোরেস ‘মাস্ক অফ আ চ্যাম্পিয়ন’ রূপকথা লিখতে পারেন কি না সেটাই দেখার। |