গত পাঁচ বার না হলেও আইপিএল-সিক্সে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের খেতাব জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী কিয়েরন পোলার্ড। সচিন-পন্টিংদের দলের এই মারকুটে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারের সাফকথা, “পারফরম্যান্স গ্রাফ একদম শীর্ষে না গেলেও ঠিক ছন্দেই এ বার এগোচ্ছে দল। আশা করছি, ফাইনালে যাওয়ার জন্য আমাদের পরিকল্পনাও মোক্ষম সময়ে ঠিকঠাক খেটে যাবে।”
গত পাঁচ বছরের ব্যর্থতা প্রসঙ্গেও নিজের মারকুটে মেজাজের ঢংয়েই উত্তর দিয়েছেন পোলার্ড। বলছেন, “পুরনো পারফরম্যান্স অতীত। মনে রাখবেন, ভাল দল কিংবা খেলোয়াড় থাকলেই খেতাব হাতের মুঠোয় চলে আসে না। তার জন্য মাঠে নেমে পারফর্ম করতে হয়। যা এ বার হচ্ছে পুরোদমে।”
আইপিএল-এ পুরনো ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে এ বার কিন্তু শুরু থেকেই চনমনে মেজাজে রয়েছে পোলার্ডের দল। ১০ ম্যাচের পর ১২ পয়েন্ট নিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে চতুর্থ স্থানে। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে চিহ্নিত করছেন এ বারের সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন হিসাবে। যদিও পোলার্ড সেই ভবিষ্যদ্বাণীতে মাথা ঘামাতে নারাজ। আপাতত তাঁর চিন্তা ঘরের মাঠে পরপর দুই হেভিওয়েট প্রতিপক্ষকে নিয়ে। রবিবার মুম্বইয়ের দলটির মুখেোমুখি ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। দু’দিন পরেই খেলতে হবে কেকেআরের বিরুদ্ধে। ঘরের মাঠে এ বার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের রেকর্ডও বেশ চোখ ধাঁধানো। ছ’টি জয়ের মধ্যে চারটিই এসেছে ওয়াংখেড়েতে। ঘরের মাঠে একনও পর্যন্ত অপরাজিত। এ কথা মনে করাতেই পোলার্ড বলছেন, “সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা। এখনও ছ’টা ম্যাচ রয়েছে। এর মধ্যে আরও কয়েকটা ম্যাচ জিততে পারলেই তা নিশ্চিত হয়ে যাবে।” |
দলের এই সাফল্যে পোলার্ড গুরুত্ব দিচ্ছেন টিম স্পিরিটকেই। এ প্রসঙ্গে উঠে এসেছে অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের দল থেকে নিজেকে কোনও কোনও ম্যাচে সরিয়ে নেওয়ার প্রসঙ্গও। যা নিয়ে পোলার্ডের বক্তব্য, “পন্টিংয়ের অভিজ্ঞতার কোনও বিকল্প হবে না। তবু অধিনায়ক জানে সেরা এগারো জনের দলে মাত্র চার বিদেশিরই জায়গা হবে। সেরা এগারো বাছতে গিয়ে পন্টিং সেই সাহসেরই পরিচয় দিয়েছে।”
ব্যাট হাতে টি-২০ ক্রিকেটে ঝোড়ো ইনিংস খেলায় পোলার্ডের খ্যাতি দুনিয়া জুড়ে। কিন্তু গত দু’ম্যাচে সে ভাবে কথা বলেনি ত্রিনিদাদের এই ক্রিকেটারের ব্যাট। যা শুনে পোলার্ড বলছেন, “রোজ রোজ বোলারদের হারিয়ে চার-ছক্কার ধামাকা ইনিংস খেলা কারওর পক্ষেই সম্ভব হবে না। এটাই ক্রিকেটের মজা। এখানে ক্রিকেটারের মর্জিমাফিক সব হয় না।”
আইপিএল-এ সচিন-পন্টিংদের ফিল্ডিংও প্রশংসিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে পোলার্ড দেখাচ্ছেন দলের ফিল্ডিং কোচ জন্টি রোডসকেই। বলছেন, ফিল্ডিং কোচই আমাদের অনুপ্রেরণা। কারণ টি-২০ ক্রিকেটে ফিল্ডিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।”
তাঁর দেশের ক্রিস গেইল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ব্যাটে সুনামি তুলছেন প্রায় প্রতি ম্যাচেই। সে প্রসঙ্গে পোলার্ড মনে করিয়ে দিয়েছেন, ওপেনার হিসাবে গেইলে বল বেশি খেলার সুবিধা। তাঁর কথায়, “ক্রিস সব ধরনের ক্রিকেটেই ম্যাচ উইনার। তা ছাড়া ইনিংসের শুরু থেকেই বাইশ গজে রাজত্ব করার সুযোগটা ভালমতোই কাজে লাগায় ও। আমার ক্ষেত্রে তিন ওভারে ব্যাট হাতে সুনামি তোলা একটু কষ্টকর তো বটেই। তাই দলের জয়ে কিছুটা হলেও অবদান রাখতে পারলেই আমি খুশি।” |