মাত্র এক রানের জন্য পেপসি আইপিএলে তাঁর প্রথম হাফসেঞ্চুরিটা ফসকে গিয়েছে। উইনিং স্ট্রোকে বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে তাঁকে ‘সরি’-ও বলে ফেলেছেন জাক কালিস। কিন্তু ইডেনে শুক্রবারের ম্যাচের সেরা ইউসুফ পাঠানের তাতে এতটুকু দুঃখ নেই। হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া করার চেয়ে তার কাছে অনেক বেশি জরুরি শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে টিমকে জেতানো। যিনি বলতে পারেন, “আজ পঞ্চাশ হল না তো কী, বাকি পাঁচটা ম্যাচের মধ্যে কোনও একটায় নিশ্চয়ই হয়ে যাবে।” বলবেন না-ই বা কেন। টিম গম্ভীরের থিমই তো তাই ব্যক্তির আগে টিম, ব্যক্তিগত মাইলস্টোনের আগে টিমের জয়।
এ-গা-রো ম্যাচ পরে আপনি রানের মধ্যে। নিশ্চয়ই খুব স্বস্তি হচ্ছে? ম্যাচের শেষে প্রশ্নটার উত্তর এল একেবারে পাঠানোচিত ভঙ্গিতে, “আমি তো অনেক আগে থেকেই খুব স্বস্তিতে আছি। প্রথম ম্যাচ থেকেই টিমের সবাই আমাকে সাপোর্ট করে এসেছে।” পাঠানের কথায় আলাদা করে উঠে আসে কেকেআরে তাঁর অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের প্রতি কৃতজ্ঞতা ছাড়াও অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলা ভাই ইরফানের নাম। “রান না পেতে পেতে কিছুটা তো চাপ তৈরি হয়েছিল আমার উপর। কিন্তু পরপর কয়েকটা ম্যাচে কম রানে আউট হয়ে যাওয়া, এ রকম তো সব বড় ব্যাটসম্যানের সঙ্গেই কোনও না কোনও সময় হয়েছে। আমার মধ্যে এই বিশ্বাসটা ছিল যে, কোনও না কোনও দিন একা হাতে টিমকে জেতাব,” গড়গড় করে বলে যান ইউসুফ। একটু থেমে আবার সংযোজন, “আমার সৌভাগ্য যে গম্ভীরের মতো ক্যাপ্টেন, ইরফানের মতো ভাই পেয়েছি। পরিবারের সমর্থন তো ছিলই। কিন্তু আলাদা করে বলতে চাই গম্ভীরের কথা। ও যে ভাবে আমার পাশে দাঁড়িয়েছে, যে ভাবে আমাকে ব্যাক করে গিয়েছে, কোনও দিন ভুলব না। খুব ভাল ভাবে আমাকে হ্যান্ডল করেছে গম্ভীর।”
ব্যাটিং অর্ডারে উপরে আসা যে তাঁর সাফল্যের অন্যতম কারণ, মেনে নিচ্ছেন শুক্রবারের ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’। বলছেন, “আমি সব সময়ই আক্রমণাত্মক খেলা পছন্দ করি। টপ অর্ডারে নামলে স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারি। বেশি চাপ থাকে না। আর আজ উল্টো দিকে কালিসের মতো কিংবদন্তি ছিল। যে মাঝে মাঝেই এসে আমাকে পরামর্শ দিচ্ছিল। তাই আরও স্বচ্ছন্দ ভাবে ব্যাট করতে পেরেছি।”
শুক্রবারের জয় দিয়েই কি টুর্নামেন্টে কেকেআরের প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে? ইউসুফ আশাবাদী, “গত বছরও তো পরপর কয়েকটা ম্যাচ জিতে প্লে-অফে গিয়েছিলাম। গত বার যেটা করতে পেরেছিলাম, এ বছর সেটা করতে পারব না কেন?” |