ইডেনের কয়েকশো মাইলের মধ্যে শুক্রবার তিনি ছিলেন না। কিন্তু তাতে কী? মাঠে আইপিএলের পুরনো টিম খেলছে, কেকেআর ক্রিকেটারদের সঙ্গে ঝামেলা বাঁধছে, আর তিনি শেন ওয়ার্ন চুপচাপ বসে থাকবেন হয় নাকি?
ঝামেলার সূত্রপাত কেকেআর ইনিংসের শুরুর দিকে। শেন ওয়াটসন বল করছিলেন। ব্যাট করছিলেন মনবিন্দর বিসলা। একটা বাউন্ডারি হজম করে মেজাজ সম্ভবত খারাপ ছিল ওয়াটসনের। পরের বলেই বিসলার দিকে বল ছোড়ার ইঙ্গিত করে গালিগালাজ শুরু করেন রয়্যালসের অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার। ঝামেলার মধ্যে জড়িয়ে পড়েন রাজস্থান অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়ও। স্বভাবসিদ্ধ শান্ত কর্নাটকীকে দেখা যায় সামান্য উত্তেজিত ভাবে বিসলাকে কিছু বলছেন। অজিঙ্ক রাহানে দু’জনকে সরিয়ে নিয়ে যেতে এগিয়ে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে আবার ঢুকে পড়েন গম্ভীর। কেকেআর অধিনায়ককে কিছু একটা বলতেও দেখা যায়। যার পরপরই ওয়ার্ন টুইট করে বসেন, “ক্রিকেট-ভক্তদের কাছে আমার প্রশ্ন, এই গ্রহের সবচেয়ে বিরক্তিকর ক্রিকেটারের তালিকায় গম্ভীর কি প্রথম তিনে থাকবে?” কিছুক্ষণ পর টুইটারে আবার ওয়ার্ন: “যাঁরা কমেন্ট্রি করছেন আর যাঁরা শুনছেন, তাঁরা কি গম্ভীর নিয়ে আমার টুইটটার সঙ্গে একমত?” |
পেপসি আইপিএলে বেশ কয়েক বার বিপক্ষ অধিনায়ক বা প্লেয়ারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছেন গম্ভীর। বেঙ্গালুরুতে আরসিবি ম্যাচ খেলতে গিয়ে বিরাট কোহলির সঙ্গেও তাঁর প্রকাশ্য ঝামেলা লেগেছিল। ইউসুফ পাঠান পরে সাংবাদিক সম্মেলন করতে এসে বলে গেলেন, কিছু জানেন না। রাজস্থানের ওয়েইস শাহ আবার বললেন, “আমি মিড অফে ফিল্ডিং করছিলাম। খটাখটিটা কী নিয়ে লেগেছিল, দেখিনি।”
কেকেআরের অধিকাংশ কর্তার বক্তব্য, ঘটনার সময় তাঁরা দূরে ছিলেন। তাই পুরো কথপোকথন শোনা যায়নি। শুধু ম্যাচের পর দু’পক্ষের শুষ্ক করমর্দন তাঁদের চোখে পড়েছে, তার বেশি কিছু নয়। ড্রেসিংরুম বা পুরস্কার-বিতরণী মঞ্চ কোথাওই কিছু শোনা যায়নি। জয়ের আবহে ঝামেলা নিয়ে পরে আর আলোচনাও হয়নি। এবং ওয়ার্নের অভিযোগকেও বিশেষ পাত্তা দেওয়া হচ্ছে না। এক কেকেআর কর্তা রাতে ওয়ার্ন-প্রসঙ্গ শুনে বলেও দিলেন, “ঠিক আছে। ওর প্রাক্তন টিম হেরে গিয়েছে। মন-মেজাজ খারাপ নিশ্চয়ই। তাই মনে হয় এ রকম বলে ফেলেছে।” ওয়ার্নের কথামতো গম্ভীরকে কোনও ভাবেই ঝামেলার মূল চরিত্র ধরা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে, ওয়াটসন শুরু করে ছিলেন। দ্রাবিড় পরে জড়িয়েছিলেন। বিসলার সমর্থনে গম্ভীর এগিয়ে গিয়েছিলেন মাত্র।
|