অনর্থক অপেক্ষায় পড়ে যাত্রী প্রতীক্ষালয়
নামেই যাত্রী প্রতীক্ষালয়। বাসও দাঁড়ায় না। ফলে, অপেক্ষাও করেন না কোনও যাত্রী।
ছবিটা খাস জেলার সদর শহর মেদিনীপুরে। ট্রাফিকের হাল ফেরাতে ‘স্পোটর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যাকাডেমি’র কাছে যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল, কেরানিচটি দিয়ে যে সব বাস শহরে ঢোকে বা বেরোয়, সেগুলো এখানেই দাঁড়াবে। সেই মতো নতুন যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরি হয়। ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। তড়িঘড়ি এই প্রতীক্ষালয় বানিয়েছিল মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদ। তাঁদেরও চালু করার কোনও উদ্যোগ নেই।
কেন এই পরিস্থিতি? এমকেডিএ-র চেয়ারম্যান তথা মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি বলেন, “সিপাইবাজার এলাকায় মাঝেমধ্যে যানজট হয়। তা এড়াতেই স্পোটর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যাকাডেমির কাছে প্রতীক্ষালয় তৈরি হয়। বাস মালিকদের সঙ্গে কথা বলছি। প্রতীক্ষালয়টি দ্রুত চালু করতে পদক্ষেপ করছি।”
শহরের বেহাল ট্রাফিক নিয়ে হামেশাই নাভিশ্বাস ওঠে মেদিনীপুর বাসীর। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দিনের বেলাতেও শহরের মধ্যে লরি ঢোকে। যানজটে নাকাল হন পথচলতি মানুষ।
সিপাইবাজারে সেই প্রতীক্ষালয়। —নিজস্ব চিত্র।
ট্রাফিক ব্যবস্থার হাল ফেরাতে গত বছর মার্চে একটি বৈঠক হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় ‘স্পোটর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যাকাডেমি’র কাছে বাস দাঁড়াবে এবং নতুন যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরি করা হবে। এখন কেরানিচটি দিয়ে যে সব বাস যাতায়াত করে, সেগুলো সিপাইবাজারে দাঁড়ায়। ওই এলাকা এমনিতেই ঘিঞ্জি। তার উপর বাস দাঁড়ানোয় সমস্যা বাড়ে। নতুন বাস দাঁড়ানোর জায়গা তৈরি করে এই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হয়েছিল। সেই মতো ৩ লক্ষ টাকায় তৈরি হয় প্রতীক্ষালয়। কিন্তু ওই পর্যন্তই। নতুন প্রতীক্ষালয় অব্যবহৃত অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে।
ইতিমধ্যে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে মেদিনীপুরে। বেশ কিছু সিদ্ধান্তও হয়েছে। তবে, নতুন এই যাত্রী প্রতীক্ষালয় চালুর ব্যাপারে কোনও আলোচনা হয়নি। শহরবাসীর অভিযোগ, ব্যবহার না হওয়ায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি যাত্রী প্রতীক্ষালয় বেদখল হয়েছে। প্রশাসন তৎপর না হলে এ ক্ষেত্রেও তাই হবে। মহকুমাশাসক (সদর) অমিতাভ দত্তের আশ্বাস, “বিষয়টি দেখছি।”
এই যখন পরিস্থিতি, তখন মেদিনীপুর ও খড়্গপুরে আরও ৬টি যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে এমকেডিএ। ৪টি প্রতীক্ষালয় হবে মেদিনীপুরে। ২টি খড়্গপুরে। ফাইবারের তৈরি আধুনিক প্রতীক্ষালয়গুলির সৌন্দর্যায়নে মণীষীদের ছবি ব্যবহার করা হবে। মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটি, কেরানিতলা, ধর্মা, ক্ষুদিরাম পার্কের পাশে এবং খড়্গপুর শহরের ইন্দা, কৌশল্যায় নতুন যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরি করার উদ্যোগ চলছে। সব মিলিয়ে ব্যয় হবে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা। প্রথমে মেদিনীপুরের কেরানিতলা এবং ধর্মায় এই প্রতীক্ষালয় তৈরি হবে বলে এমকেডিএ সূত্রে খবর। এ জন্য জায়গায়ও চিহ্নিত হয়েছে।
এখন প্রশ্ন, তৈরি হয়ে এই প্রতীক্ষালয়গুলোও অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকবে না তো?


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.