জরাজীর্ণ বাড়ি
শঙ্কায় কাজ
ছাদের উপরে গাছ গজিয়েছে। ‘গ্রাউন্ড ফ্লোর’-এর দেওয়ালে শিকড় চলে এসেছে। ভেঙে পড়েছে একাংশের দেওয়াল। এমনই জরাজীর্ণ বাড়িতে চলছে হাওড়া পুরসভার মোটর বিভাগ অফিসের। অভিযোগ, এর মধ্যেই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন প্রায় ৫২ জন কর্মী। পুরসভা সূত্রের খবর, ১৯২০-এ দু’কাঠা জমির উপরে তিন তলার ভবনটি তৈরি হয়। মেয়রের ঘরের উল্টো দিকেই এই ভবন। তিন তলায় ছিল পুরসভার পাঠাগার, শিক্ষা বিভাগের অফিস। দু’তলায় ছিল ক্যান্টিন। গ্রাউন্ড ফ্লোরে ছিল মোটর বিভাগের অফিস। ভবনটির অবস্থা খারাপ হতে থাকলে পুরসভা টাউন হলের উল্টো দিকে অ্যানেক্স বিল্ডিং তৈরি করে। সেখানে শিক্ষা বিভাগ চলে যায়। বন্ধ হয়ে যায় ক্যান্টিন ও পাঠাগার। কিন্তু মোটর বিভাগ গ্রাউন্ড ফ্লোরেই থেকে যায়। এই ঘরে দু’টি জানলা বন্ধ।
ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
একটি জানলা ভাঙা। দেওয়ালে অজস্র ফাটল। ছাদ ফেটে ঝুলছে বটের ঝুরি। মেঝে ফাটা। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন বাড়িটির কোনও মেরামতি হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী বলেন, “সব সময়ে ভয়ে থাকি। যে কোনও দিন অঘটন ঘটতে পারে।”
মোটর বিভাগ কেন সরানো হল না?
পুরসভার মেয়র মমতা জয়সোয়াল বলেন, “কয়েক বছর আগে মোটর বিভাগটি অন্যত্র সরানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত জায়গা পাওয়া যায়নি। আগের বাম সরকারের আমলে নতুন ভবন করার জন্য পুরসভাকে ৭০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। আমার ভবনের পাশেই নতুন ভবনের কাজ শুরু হয়। কিন্তু এক তলা হওয়ার পরে অর্থাভাবে কাজ আটকে যায়।” নতুন ভবনের তিনটি ঘরে অন্যান্য বিভাগ চালু হয়েছে।
তবে মেয়রের আশ্বাস, “আপাতত অ্যানেক্স ভবনেই মোটর বিভাগকে সরানো হবে। যেখানে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। ফলে খুবই অসুবিধা হবে। জরাজীর্ণ ভবনটিকেও শীঘ্রই ভাঙা হবে।”




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.