তৈরির পর থেকে কেটে গিয়েছে বহু যুগ। কিন্তু সংস্কারের অভাবে জীর্ণ বাণীবন জোড়াপোল সেতু। বর্তমানে তার ভগ্নপ্রায় দশা। প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও সেতু সংস্কারের বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
উলুবেড়িয়া পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড ও বাণীবন পঞ্চায়েতের পীরপুর গ্রামের মাঝে অবস্থিত বাঁশপাটি খাল। সেই খালের উপর সেতুটিরই নাম ‘বাণীবন জোড়াপোল।’ লম্বায় ৭০ ফুট এবং চওড়ায় ৯ ফুটের এই সেতুটি বাণীবন পঞ্চায়েত এবং বাসুদেবপুর পঞ্চায়েতের মানুষদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সেতু দিয়েই তাঁরা যাতায়াত করেন উলুবেড়িয়া হাসপাতাল, আদালত, কলেজ ও থানায়। এই সেতু দিয়ে এসে এক কড়ি সিংহরায় রোড হয়ে যাওয়া যায় উলুবেড়িয়া রেল স্টেশনেও। বহু মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন এই সেতু দিয়েই। |
এই হাল সেতুর থামের। তার উপর দিয়েই চলছে যাতায়াত। ছবি: সুব্রত জানা। |
স্থানীয় এক প্রবীণ ব্যক্তি শৈলেন্দ্র সিংহরায় জানালেন, প্রায় ৬০ বছর আগে ওখানে দু’টি কাঠের পোল ছিল। সেটি ভেঙে যাওয়ার পর একটি ঢালাই পোল তৈরি করা হয়। তখন থেকেই এই সেতুর নাম জোড়াপোল। কিন্তু তারপর থেকেই সেতুটি আর সংস্কার করা হয়নি। গত কয়েক বছর ধরে সেতুটির চারটি থামের অবস্থা এতটাই খারাপ, যে কোনও সময়ে হুড়মুড়িয়ে তা ভেঙে পড়তে পারে বলে স্থানীয় মানুষের আশঙ্কা। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই সেতুর উপর দিয়েই চলছে অটো, ট্রেকার বা ম্যাটাডোরের মত যানবাহন।
এ বিষয়ে বাণীবন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, “আমরা একাধিক বার এ বিষয়ে সেচ দফতরকে জানিয়েছি। তারপরে মাপজোক, মাটি পরীক্ষাও হয়েছিল। কিন্তু আর কোনও রকম কাজ এগোয়নি।” উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক নির্মল মাজি বলেন, “আমি এই সেতু-সহ আরও তিনটি সেতু নিয়ে সেচমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। সেচমন্ত্রী বলেছেন খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।” সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার দফতরে কাগজপত্র জমা পড়েছে। কাজ কত দূর এগিয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখব।”
শেষ পর্যন্ত সেতু সংস্কারের জন্য কী ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন, তা দেখার অপেক্ষায় এলাকার মানুষজন। |