|
|
|
|
সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষা |
আবার শীর্ষে মেয়ে, বাংলা সেই তিমিরেই
নিজস্ব প্রতিবেদন |
পরপর তিন বার। সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষার শীর্ষ স্থান দখলে হ্যাটট্রিক করলেন মেয়েরা। এ বারে প্রথমের নাম হরিথা ভি কুমার।
মেধাতালিকায় প্রথম বাঙালি হিসেবে যাঁর নাম আছে, তিনিও এক জন মহিলা। অঙ্কিতা চক্রবর্তী। আছেন ১৭ নম্বরে। তবে তিনি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা নন। বস্তুত, প্রথম পঁচিশ জনে এ রাজ্যের কেউ নেই। কলকাতা থেকে যে চার জন মেধাতালিকায় রয়েছেন, তাঁরা কেউই প্রথম ২৫০ জনের মধ্যেও আসতে পারেননি।
২০১১-তে ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসে যোগ দেন হরিথা। এ বারে সাফল্য এল সিভিল সার্ভিসে। কেরল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রনিক্স ও কমিউনিকেশনে বি টেক হরিথা এই নিয়ে চতুর্থ বার পরীক্ষা দিলেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভি শ্রীরাম ও স্তুতি চরণ।
মেধাতালিকায় থাকা ৯৯৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭৫৩ জন ছেলে ও ২৪৫ জন মেয়ে। কলকাতা থেকে সফলদের তালিকায় রয়েছেন ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় (২৫৬), অপরাজিতা রায় (৩৫৮), হর্ষ পোদ্দার (৩৬১), ডায়ানা বালা (৯২৭)। প্রশ্ন উঠেছে, বাংলার ছবিটা করুণ কেন? সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষার প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ দেয়, এমন একটি সংস্থার কর্ণধার জ্যোতির্ময় পালচৌধুরী বিষয়টাকে এতটা সরল করে দেখতে রাজি নন। তিনি বলেন, “দেশের চার-সাড়ে চার লক্ষ ছেলেমেয়ে এই পরীক্ষায় বসেন। রাজ্যের প্রার্থীদেরও অনেক বারই প্রথম ২৫-৩০ জনের মধ্যে নাম থেকেছে। প্রতি বছরই গোড়ার দিকে ঠাঁই হবে, তেমন কোনও কথা নেই। এই পরীক্ষাকে এ ভাবে দেখা ঠিক নয়।” তবে ৯২৭ নম্বর স্থানে থাকা ডায়না বালা জানান, এ ধরনের পরীক্ষা নিয়ে সচেতনতার অভাবেই পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রার্থীরা। এখানে এ সব পরীক্ষার প্রশিক্ষণের কেন্দ্রের অভাবও এমন দুর্বল ফলের অন্যতম প্রধান কারণ বলে মনে করেন ডায়ানা। |
|
|
|
|
|