|
|
|
|
মহিলা পুলিশকে ‘আওয়াজ’, মোরাবাদিতে গ্রেফতার চার যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
সাধারণ ঘরের মহিলারা তো বটেই। নিস্তার মেলেনি মহিলা পুলিশ কর্মীদেরও। রাঁচির রাস্তায় এ বার ইভটিজিং-এর শিকার হলেন এক মহিলা পুলিশ অফিসারও। আজ সকালের এই ঘটনায় জড়িত চার যুবককে আটক করেছে রাঁচির লালপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ জানাচ্ছে, মোরাবাদি ময়দানে সকালে প্রাতর্ভ্রমণ করতে যান মানুষজন। প্রাতর্ভ্রমণকারীদের মধ্যে মহিলার সংখ্যাই বেশি। বেশ কিছুদিন ধরেই পুলিশের কাছে অভিযোগ আসছিল, প্রাতর্ভ্রমণের সময় দুষ্কৃতীরা মহিলাদের উত্যক্ত করছে। তাঁদের উদ্দেশে কটূক্তি করছে, অশালীন অঙ্গভঙ্গি করছে। লাগাতার অভিযোগ পাওয়ার পর আজ সকালে পুলিশের একটি দল সাদা পোশাকে ওই এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছিল। দলের নেতৃত্বে ছিলেন মহিলা ডিএসপি নিরশা মুর্মু। ঠিক সেই সময়েই একটি বাইকে চেপে চার যুবক প্রাতর্ভ্রমণকারী মহিলাদের কয়েক জনকে উত্যক্ত করছে। তাদের মধ্যে একজন মত্ত অবস্থায় ছিল বলেই অভিযোগ পুলিশের।
বাইকটিকে দাঁড় করান ডিএসপি নিরশা। তিনি তখন সাদা পোশাকে থাকায় ওই চার যুবক ডিএসপিকে প্রথমে চিনতে পারেনি। তাঁকে উদ্দেশ্য করেও ওই চার যুবক কটূক্তি করে ও অশালীন অঙ্গভঙ্গি করে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গেই ডিএসপি ওয়াকিটকিতে দলের বাকিদের খবর দেন। ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করে লালপুর থানায় নিয়ে আসা হয় ওই চার যুবককে। ডিএসপি-র কথায়, “আটক যুবকদের কোনও ভাবেই ছাড়া হবে না। ঘটনাস্থলে ওরা যাঁদের উত্যক্ত করছিল তাঁদের দু-একজন লিখিত অভিযোগ জমা দিতে রাজি হয়েছেন। তা না হলেও পুলিশ নিজে থেকেই অভিযোগ দায়ের করবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় ইভটিজাররা ছাড় পেয়ে যায়।”
রাজ্যে মহিলা ঘটিত অপরাধের ঘটনা বছরের শুরু থেকেই বাড়ছে। এর মধ্যে রাজধানী রাঁচিতেই একাধিক ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, রাঁচিতে মহিলা ঘটিত অপরাধের সংখ্যা ২০১২ সালে ছিল ৭০। এ বছর মার্চ পর্যন্তই তা বত্রিশে পৌঁছেছে। কয়েক দিন আগেই ডোরাণ্ডার দর্জি মহল্লায় এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। |
|
|
|
|
|