|
|
|
|
ঘুষ-কাণ্ডে জড়ালেন রেলমন্ত্রীর আত্মীয়
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কেলেঙ্কারির সারিতে এ বার জুড়ল রেলমন্ত্রী পবন বনশলের নামও। তাঁর ভাইপোকে ঘুষ দিতে গিয়ে ধরা পড়লেন রেল বোর্ডেরই এক কর্তা।
আজ রেল বোর্ডের সদস্য (কর্মিবর্গ) মহেশ কুমারকে ৯০ লক্ষ টাকা-সহ আটক করেছে সিবিআই। মহেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পবন বনশলের ভাইপো তথা ব্যবসায়ী বিজয় সিঙ্গলাকে ওই টাকা দিতে গিয়েছিলেন। মহেশ ও বিজয় ছাড়াও সন্দীপ গোয়েল ও মঞ্জুনাথ নামে মোট চার ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করেছে সিবিআই।
|
পবন বনশল |
তবে সিবিআই তরফের দাবি, এখন পর্যন্ত কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়নি। এমনিতেই যখন ইউপিএ সরকার একাধিক দুর্নীতির মামলায় জেরবার, তখন রেলমন্ত্রীর ভাইপোর নাম ঘুষ নেওয়ার ঘটনায় জড়িয়ে যাওয়ায় বিরোধীরা নতুন রাজনৈতিক অস্ত্র পেয়ে গেল। দু’দিন আগেই রেল বোর্ডের সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন মহেশ। নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে আজ সিবিআই তাঁকে মুম্বই বিমানবন্দর থেকে আটক করে। তাঁর কাছ থেকেই পাওয়া যায় ৯০ লক্ষ টাকা। প্রাথমিক জেরায় তিনি জানিয়েছেন, ওই টাকা তিনি বিজয় সিঙ্গলাকে দেওয়ার জন্য মুম্বই গিয়েছিলেন। সিবিআই সূত্রে বলা হয়েছে, ভবিষ্যৎ পদোন্নতির জন্য ওই ঘুষ দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে ওই টাকা ঘুষের মোট পরিমাণের একটি সামান্য অংশ বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন গোয়েন্দারা। আগামী জুনে অবসর নেবেন রেল বোর্ডের শীর্ষ কর্তা তথা চেয়ারম্যান বিনয় মিত্তল। তাঁর জায়গা নিতে দৌড়ে রয়েছেন দু’জন: কুলভূষণ (বোর্ডের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন) ও সদ্য নিযুক্ত মহেশ কুমার। তদন্তকারীরা মনে করছেন, রেল বোর্ডে শীর্ষ কর্তার পদ পেতেই ওই ঘুষের অঙ্ক পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন মহেশ।
আত্মীয়ের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি পবন বনশল। সরকারি ভাবে কিছু বলতে চাননি রেল মন্ত্রকের অতিরিক্ত ডিজি (জনসংযোগ) অনিল সাক্সেনাও। কিন্তু যে ভাবে বনশলের আত্মীয়ের নাম উঠে এসেছে, তাতে আগামী দিনে বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলি দুর্নীতি প্রশ্নে আবার সরকারকে চেপে ধরবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে রেলমন্ত্রীর গদি কত দিন সুরক্ষিত থাকে, তাই নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে রেল ভবনে। |
|
|
|
|
|