|
|
|
|
কী ভূমিকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের, তলব হল হলফনামা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পশ্চিমবঙ্গ ও পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থার রমরমা দেখে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে কি না, আরবিআই-কর্তৃপক্ষকে সাত দিনের মধ্যে তা হলফনামা দিয়ে জানাতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। অর্থলগ্নি সংস্থার বাড়বাড়ন্ত প্রতিরোধে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভূমিকা কতটা ছিল, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ-মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। শুক্রবার তার শুনানির শেষে আদালতের এই নির্দেশ।
এ দিন আবেদনকারীর কৌঁসুলি দেবযানী সেনগুপ্ত সওয়ালে বলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আগেই ঘোষণা করেছিল যে, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ছ’হাজার ‘নন-ব্যাঙ্কিং’ সংস্থা সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে আমানত সংগ্রহ করছে। কিন্তু এমন ঘোষণা করার পরেও সংস্থাগুলো একই কাজ করে যাচ্ছে কি না বা সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আর খোঁজ-খবর নেয়নি বলে অভিযোগ।
বিস্তারিত জানাতে গিয়ে বাদীপক্ষের কৌঁসুলি বলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০১২-র ৩০ নভেম্বর সারা দেশের ১২ হাজারের কিছু বেশি অর্থলগ্নি সংস্থাকে অবৈধ ঘোষণা করেছে, যার ৫৮০০টি শুধু পশ্চিমবঙ্গে। আরবিআই তখন জানিয়ে দিয়েছিল, সংস্থাগুলো কারও কাছ থেকে কোনও আমানত সংগ্রহ করতে পারবে না। এবং আরবিআইয়ের সেই নির্দেশ উল্লেখ করেই হাইকোর্টে জনস্বার্থ-মামলাটি দায়ের হয়েছে। “এখন এত বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছে। জেলায় জেলায় রোজ রোজ নতুন নতুন অর্থলগ্নি সংস্থার নাম শোনা যাচ্ছে। দরিদ্র মানুষ প্রতি দিন প্রতারিত হচ্ছেন। কিন্তু ছ’মাস আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কালো তালিকাভুক্ত হওয়া সংস্থাগুলোর পরে কী হল, জানা যাচ্ছে না!” মন্তব্য তাঁর।
এই পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভূমিকা স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন বলে সওয়ালে দাবি করেন আবেদনকারীর কৌঁসুলি। ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর সওয়ালের ভিত্তিতে রিজাভর্র্ ব্যাঙ্কের বক্তব্য জানতে চান। আরবিআইয়ের কৌঁসুলি বলেন, ব্যাঙ্ক-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই তিনি আদালতকে এ বিষয়ে সবিস্তার জানাতে পারবেন। শুনে বেঞ্চের নির্দেশ, সাত দিনের মধ্যে তা হলফনামা দিয়ে আদালতকে জানাতে হবে। |
|
|
|
|
|