রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের গড়া তদন্ত কমিটির প্রধান তদন্তের প্রয়োজনে পুলিশের লোককে ডেকে পাঠানো সত্ত্বেও তাঁর তলবকে আমল দেওয়া হচ্ছে না বলে আগেই অভিযোগ উঠেছিল। ওই কমিটির প্রধান অমল মুখোপাধ্যায় এ বার অভিযোগ করলেন, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার তদন্তে পুলিশের ষোলো আনা সহযোগিতা মিলছে না। এর জেরে তদন্তের কাজ দীর্ঘায়িত হচ্ছে বলেও আক্ষেপ করেন তিনি।
মঙ্গলবার জোড়াসাঁকো থানার ওসি-সহ চার পুলিশকর্মীকে মানবাধিকার কমিশনে ওই তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এক সাব-ইনস্পেক্টর হাজির হননি। তিনি ছুটিতে রয়েছেন। তিনি ১৪ মে কমিশনের দফতরে যাবেন। ওই সাব-ইনস্পেক্টর ১০ এপ্রিল হামলার সময় প্রেসিডেন্সি চত্বরে কর্তব্যরত ছিলেন। তাই তাঁর সাক্ষ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে তদন্ত কমিটি। কিন্তু তিনি ছুটিতে থাকায় এক ধাক্কায় তদন্ত কমিটির কাজ ১৫ দিন পিছিয়ে গেল বলে এ দিন অনুযোগ করেন অমলবাবু।
এ দিন বেলা ১২টায় জোড়াসাঁকো থানার ওসি সিদ্ধার্থ দত্ত-সহ তিন পুলিশকর্মী মানবাধিকার কমিশনে পৌঁছন। প্রায় দু’ঘণ্টা তাঁদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। কমিশন সূত্রের খবর, গত ১৯ এপ্রিল ওই পুলিশকর্মীদের তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হতে বলেছিলেন অমলবাবু। সে-দিন তাঁরা উপস্থিত হননি। তার পরে পুলিশকে তলবের ভার দেওয়া হয় কমিশনের পুলিশ সুপারকে। কিন্তু তাতেও যে সমস্যা মেটেনি, অমলবাবুর এ দিনের বক্তব্যে তা স্পষ্ট। জোড়াসাঁকো থানার সংশ্লিষ্ট কর্মীদের এ দিন ফের ডেকে পাঠানো হয়। ওই পুলিশকর্মীদের সাক্ষ্য নেওয়ার পরে অমলবাবু বলেন, “পুলিশের সহায়তায় আমরা সন্তুষ্ট, আবার সন্তুষ্ট নই। ১০ তারিখে ঠিক কী ঘটেছিল, সেই সত্য উদ্ঘাটনের জন্য যে-অকুণ্ঠ সহযোগিতা দরকার, তা পাওয়া যাচ্ছে না।”
কিন্তু কী ধরনের সাহায্য মিলছে না, তিনি তা ব্যাখ্যা করতে চাননি। প্রেসিডেন্সির হামলার ঘটনায় এ-পর্যন্ত ৩৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটি।
|