ধর্মতলার রেস্তোরাঁ মালিকের ছেলে অঙ্কুর সাউকে অপহরণ ও তাঁর গাড়িচালক জিতেন্দ্রকুমার সাউকে খুনের অভিযোগে হাওড়া থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। গোয়েন্দা প্রধান পল্লবকান্তি ঘোষ মঙ্গলবার জানান, ধৃত দিলীপ শর্মা অঙ্কুরের এক বন্ধুর পরিচিত। কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে তাঁর একটি গ্যারাজ আছে। সেখান থেকেই সোমবার তাঁকে ধরা হয়। মঙ্গলবার আদালত তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত দেয়। পুলিশের একাংশের বক্তব্য, অঙ্কুরের থেকে মোটা টাকা মুক্তিপণ নেওয়া হয়। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, কারা অপহরণকারী জেনে যাওয়ায় খুন হন জিতেন্দ্র। গোয়েন্দাদের দাবি, জেরায় দিলীপ জানান, ১৩ এপ্রিল বন্ধুদের নিয়ে তাঁর গ্যারাজে নেশা করেন অঙ্কুর। তাঁকেও নেশার জিনিস খাওয়ানো হয়। ১৪ তারিখ তিনি দেখেন অঙ্কুরের গাড়িতে শুয়ে আছেন। গোয়েন্দারা জানান, অঙ্কুর ও দিলীপের বয়ান মিলছে না। গোয়েন্দাদের অভিযোগ, অপহরণ এবং খুনের ঘটনায় দিলীপ-সহ চার জন প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত। অঙ্কুর-ঘনিষ্ঠ কয়েক জনের খোঁজ চলছে।
|
ছাত্রনেতার মৃত্যুর তদন্তে সিবিআই চেয়ে মামলা |
পুলিশি হেফাজতে মৃত এসএফআই নেতা সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটনে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে তাঁর বাবা প্রণব দত্ত মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন। ৪ এপ্রিল চারটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের ডাকে ধর্মতলায় আইন-অমান্য আন্দোলনে যোগ দেন সুদীপ্ত। পুলিশ অন্যদের সঙ্গে তাঁকেও গ্রেফতার করে বাসে তোলে। প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। এফআইআরে বলা হয়, বাস থেকে মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরে পুলিশ তাঁকে লাঠিপেটা করে। পরে এসএসকেএম হাসপাতালে তিনি মারা যান। প্রণববাবু তাঁর আবেদনে বলেন, সুদীপ্তের মৃত্যু হয়েছে পুলিশি হেফাজতে। মৃতদেহ দেখে বোঝা গিয়েছে, তাঁকে আঘাত করা হয়েছিল। প্রায় এক মাস কেটে গেলেও কার্যত কোনও তদন্তই হয়নি। পুত্রহারা পিতার প্রার্থনা, সত্য প্রকাশিত হোক এবং দোষীরা শাস্তি পাক। কিন্তু পুলিশ তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য জানা যাবে না। কারণ অভিযোগটা পুলিশের বিরুদ্ধেই। চলতি সপ্তাহেই মামলাটির শুনানি হতে পারে।
|
পুড়ে ছাই হল পিসবোর্ডের প্যাকিং বাক্সের কয়েকটি গুদাম। মঙ্গলবার ভোরে, জোড়াসাঁকো থানার সৈয়দ স্যালি লেনে। পুলিশ জানায়, ঘিঞ্জি গুদামগুলিতে ফলের প্যাকিং বাক্স থাকায় আগুন দ্রুত ছড়ায়। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, টেরিটি বাজারের দমকল কেন্দ্র থেকে ন’টি ইঞ্জিন দু’ঘণ্টারও বেশি সময়ে আগুন নেভায়। এলাকাবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে জিনিস বার করতে থাকেন। কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দল ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে যায়। দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন।
|
মূল রানওয়েতে গর্ত, বন্ধ উড়ান |
জেটের পটনাগামী একটি বিমানের পাইলট কলকাতা বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার সময় মূল রানওয়েতে একটি বিরাট গর্ত দেখতে পান। তার জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ২০ মিনিট বিমান ওঠানামা বন্ধ থাকে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ওই সময় চারটি বিমান নামবে বলে কলকাতার আকাশে চলে এসেছিল। এটিসি তাদের চক্কর কাটতে বলে। উড়বে বলে দু’টি বিমান বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে ছিল। রানওয়ে বন্ধ থাকায় তাদেরও আটকে দেওয়া হয়। ২০ মিনিট পরে বিমান ওঠানামা শুরু হয় দ্বিতীয় রানওয়ে দিয়ে।
|
যাত্রীদের বিক্ষোভে আটকে গেল বিমান |
যাত্রী-বিক্ষোভের জেরে মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতা বিমানবন্দরে স্পাইস জেট সংস্থার বেঙ্গালুরুগামী একটি বিমান ৫০ মিনিট আটকে থাকে। বিমানটি রানওয়ে ছাড়ার সময়ে এক যাত্রী পাইলটের কাছে অভিযোগ করেন, বাতানুকূল যন্ত্র কাজ করছে না। পাইলট বিমান ফিরিয়ে এনে ওই যাত্রীকে নেমে যেতে বলেন। বিক্ষোভ শুরু করেন যাত্রীরা। ৫০ মিনিট পরে বিমানটি ওড়ে। |