শুধু রাস্তার নতুন নামকরণই নয়, নতুন নামের ফলকের পাশে থাকবে আরও একটি ফলক। যাঁর নামে নতুন নাম, সেই শিল্পীর একটি সংক্ষিপ্ত পরিচয় থাকবে সেই ফলকে। উদ্দেশ্য, পথচলতি সাধারণ মানুষের সঙ্গে সেই শিল্পীর পরিচয় করানো। মঙ্গলবার টাউন হলে শহরের কিছু রাস্তার নামকরণের অনুষ্ঠানে এই নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন ১৫টি রাস্তা ও দু’টি সেতুর নামকরণ করে পুরসভা। |
এর মধ্যে অন্যতম হল, শ্রীরামকৃষ্ণের নামে কাশীপুর উদ্যানবাটি সংলগ্ন কাশীপুর রোডের নাম, সারদাদেবীর নামে জিরাট সেতুর নাম, শ্রীচৈতন্যের নামে ঢাকুরিয়া সেতুর নাম, সরোদশিল্পী উস্তাদ হাফিজ আলি খানের নামে নিউ পার্ক স্ট্রিটের নাম এবং সঙ্গীতশিল্পী উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খানের নামে ব্রড স্ট্রিটের নাম।
এতদিন নিয়ম ছিল কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তির মৃত্যুর দু’বছরের মধ্যে তাঁর নামে রাস্তার নামকরণ করা যাবে না। বর্তমান সরকার নিয়ম বদলে দিয়েছে। কয়েক মাস আগে প্রয়াত পণ্ডিত রবিশঙ্কর ও সদ্যপ্রয়াত রমাপ্রসাদ গোয়েন্কার নামেও দু’টি রাস্তার নামকরণ হয়। |
|
|
রাস্তার নামকরণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে
সঙ্গীতশিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও উস্তাদ আমজাদ আলি খান। |
|
অনুষ্ঠানে ছিলেন উস্তাদ হাফিজ আলি খানের ছেলে উস্তাদ আমজাদ আলি খানও। তিনি বলেন, “শুধু আমার বাবার নামেই নয়, উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খান, পণ্ডিত রবিশঙ্করের মতো মহৎ শিল্পীদের নামে রাস্তার নামকরণ হওয়ায় আমি অভিভূত।”
আরও যাঁদের নামে বিভিন্ন রাস্তার নামকরণ হয়েছে, তাঁদের মধ্যে আছেন উত্তমকুমার, দেবব্রত বিশ্বাস, সলিল চৌধুরী প্রমুখ।
|
মঙ্গলবার টাউন হলে ছবি তুলেছেন সুমন বল্লভ। |