গার্ডেনরিচ-কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নার জামিনের আবেদন দ্বিতীয় বার খারিজ করল আলিপুর আদালত। মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা ভারপ্রাপ্ত বিচারক অজেয় মতিলাল মুন্নার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।
মুন্নার বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর তাপস চৌধুরীকে খুন এবং অন্যদের হত্যার চেষ্টা-সহ সশস্ত্র হাঙ্গামার অভিযোগ রয়েছে। ওই দুই মামলাতেই এ দিন জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
অভিযুক্তের আইনজীবী অশোক মুখোপাধ্যায় এ দিনের শুনানিতে আর ১২ ফেব্রুয়ারির ঘটনার বিষয়বস্তু তোলেননি। শুধু মাত্র অভিযুক্তের মানবিক দিক তুলে বলেন, “আমার মক্কেলের মা ক্যানসারে আক্রান্ত। মেয়েরও হৃদ্যন্ত্রে অসুবিধা রয়েছে। সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ। তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অভিযুক্ত ৫৩ দিন ধরে হাজতে রয়েছেন। তাই এ বার তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।”
জবাবে সরকারি আইনজীবী শ্যামাদাস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “গত ১৭ এপ্রিল এই আদালতই সে দিনের ঘটনার বিষয়বস্তু দেখে অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। আজ অভিযুক্তের মানবিক দিক প্রসঙ্গে যা বলা হল, তার বিবেচনা আদালতই করবে। এখানে আমার বলার কিছুই নেই।” তবে ঘটনার দিনের বিষয়বস্তু নিয়ে যদি আলোচনা হয়, তাতে তাঁর আপত্তি রয়েছে বলে আদালতে জানান শ্যামাদাসবাবু। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত আর মুন্নাকে জামিন দেয়নি।
অন্য দিকে, মাঠপুকুর-কাণ্ডে ধৃত, অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর শম্ভুনাথ কাওয়ের জামিনের আবেদনও মঙ্গলবার আলিপুরে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ফের খারিজ হয়ে যায়। বিচারক উমেশ সিংহ অভিযুক্তকে ফের ১৪ দিনের জন্য জেল হাজতে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁকে ১৪ মে আবার আদালতে হাজির করাতে হবে।
মাঠপুকুর-কাণ্ডে খুন হন অধীর মাইতি নামে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। এরই ভিত্তিতে শুরু হয় এই মামলাটি। মাঠপুকুরের এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ শম্ভুনাথ কাও-সহ চার জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে।
অভিযুক্তদের দুই আইনজীবী মনোজকুমার ঘোষ ও মৌসুমী দাস বলেন, “আমাদের মক্কেল টানা ৩০ দিন ধরে হাজতে রয়েছেন। পুলিশ দু’টি লাঠি ছাড়া কিছুই পায়নি। এক মক্কেল কাউন্সিলর। ফলে তাঁর এলাকায় কাজকর্ম হচ্ছে না। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।”
শম্ভুনাথ কাওয়ের জামিনের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবী শক্তি ভট্টাচার্য বলেন, “এই অভিযুক্ত পুলিশের তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। এখনও দু’জনকে পুলিশ ধরতে পারেনি। সুতরাং তাঁকে ফের জেল হাজতে রাখার প্রয়োজন রয়েছে।
|