|
|
|
|
কাও, মুন্নার জামিনের আবেদন খারিজ কোর্টে |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
মূল প্রবেশপথের সামনে চলছে পক্ষ-বিপক্ষের স্লোগান। কয়েক মিটারের ব্যবধানে একটি দল জোর গলায় বলে চলেছে ‘দলের কলঙ্ক শম্ভুনাথ কাওয়ের শাস্তি চাই’। আর একদল আওয়াজ তুলেছে অভিযুক্ত ওই কাউন্সিলরের মুক্তির দাবিতে।
আদালতের ভিতরে তখন হাজির খুনে অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতা। বুধবার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে (এসিজেএম) ওঠে ধাপা এলাকায় ওই খুনের মামলা। মূল অভিযুক্ত শম্ভুনাথের আইনজীবী এ দিন তাঁর জামিনের আবেদন জানান। তা খারিজ করে আদালত। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁর জেল হেফাজত হয়। আদালতে এ দিন হাজির করানো হয় গার্ডেনরিচ-কাণ্ডের অভিযুক্ত মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নাকেও। তাঁর জামিনের আবেদন করা হলে, তা-ও খারিজ হয়। একই দিনে প্রভাবশালী দুই নেতার মামলা আদালতে ওঠায় বিশেষ সতর্ক ছিল পুলিশ। গণ্ডগোলের আশঙ্কায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল আলিপুর আদালত চত্বরে।
এসিজেএম উমেশ সিংহের এজলাসে শম্ভুনাথের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী অশোক মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে আইনজীবী তরুণ রায়চৌধুরী শম্ভুনাথের জামিনের আর্জি জানিয়ে বলেন, ধাপার একটি জমি ঘিরে দু’টি গোষ্ঠীর মতবিরোধ চলছিল। তখন ধাক্কাধাক্কিতে অধীর মাইতি পড়ে যান। হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ ক্ষেত্রে তাঁদের মক্কেল কী ভাবে অভিযুক্ত হতে পারেন, প্রশ্ন তোলেন তিনি। একই ঘটনায় ধৃত শ্যামল মুখোপাধ্যায়, অজয় দলুইকেও ওই এজলাসে হাজির করা হয়েছিল। বিশেষ সরকারি আইনজীবী শক্তি ভট্টাচার্য জামিনের বিরোধিতা করে জানান, দলীয় সহকর্মী অসুস্থ অধীরবাবুকে বুকে আঘাত করলে তাঁর মৃত্যু হতে পারে, তা অজানা ছিল না অভিযুক্তের। অধীরবাবু পড়ে গেলেও তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি অভিযুক্ত পুর-প্রতিনিধি।
এ দিকে, গার্ডেনরিচে পুলিশ খুনের মামলায় আলিপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সুরথেশ্বর মণ্ডলের এজলাসে পেশ করা হয় তৃণমূলের বরো চেয়ারম্যান মহম্মদ ইকবালকে। জামিনের আবেদন খারিজ করে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত মুন্নার জেল হেফাজত হয়। ছিলেন মুন্নার অন্য আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ও।
এ দিনই আলিপুরের জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক রফিকুল রহমানের এজলাসে মুন্নার জামিনের আবেদন করে আইনজীবী অশোক মুখোপাধ্যায় বলেন, বৃহস্পতিবার ইকবালের এলাকায় বরো চেয়ারম্যান নির্বাচন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে মুন্নার তাতে ভোটাধিকার আছে। তাই তাঁর অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করা হোক। সরকারি আইনজীবী শ্যামাদাস গঙ্গোপাধ্যায় বিরোধিতা করেন। আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
|
পুরনো খবর: কাও-মুন্না জোড়া কাঁটা বরো-ভোটে |
|
|
|
|
|