বরো নির্বাচনের মুখে দলের দুই কাউন্সিলরকে নিয়ে প্রবল বিড়ম্বনায় তৃণমূল কংগ্রেস-শাসিত কলকাতা পুরবোর্ড। এঁরা হলেন শম্ভুনাথ কাও ও মহম্মদ ইকবাল। প্রথম জন খুনের অভিযোগে এখনও ফেরার। দ্বিতীয় জন পুলিশ অফিসার খুনের মামলায় জেলবন্দি। পুরসভা সূত্রের খবর, ৭ নম্বর বরোয় শম্ভুনাথের ভোট না-পেলে তৃণমূলের জয় পুরো ভাগ্যের উপরে ছেড়ে দিতে হবে। আর ১৫ নম্বরে ইকবালের অনুপস্থিতিতে কার হাতে যাবে গার্ডেনরিচের আধিপত্য, তা নিয়ে মেয়র বনাম পুরমন্ত্রীর ঠান্ডা লড়াইয়ে চরম অস্বস্তিতে পুরকর্তারা।
এক বছর মেয়াদি বরোর কার্যকাল শেষ হচ্ছে ৩১ মার্চ। পুরসভা সূত্রের খবর, আগামী ৯ এপ্রিল থেকে বরো নির্বাচন শুরু হচ্ছে। দু’তিন দিনের মধ্যেই এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। পুরসভার এক পদস্থ অফিসার জানান, আসন বিন্যাসের হিসেবে একমাত্র তিন নম্বর ছাড়া বাকি ১৪টি বরোই তৃণমূলের দখলে আছে। |
এ বারও সেই ফলাফলের আশায় ছিল তৃণমূল বোর্ড। কিন্তু বাদ সেধেছেন শম্ভুনাথ কাও ও মহম্মদ ইকবাল। পুরসভার ওই অফিসার বলেন, ৭ নম্বর বরোয় মোট আসন ন’টি। তৃণমূলের পাঁচ এবং বামেদের চার। শম্ভুনাথ কাও অনুপস্থিত থাকলে হিসেবটা দাঁড়াবে চার-চার। সে ক্ষেত্রে ‘টাই’ অবশ্যম্ভাবী। বরো হাতছাড়া হতে পারে তৃণমূলের।
সংখ্যার হিসেবে ১৫ নম্বর তৃণমূলের জয় নিশ্চিত হলেও সেখানে মূল সমস্যা, কে বরো চেয়ারম্যান হবেন তা নিয়েই। মেয়র অনুগামীরা চান, সামসুজ্জমান আনসারির পরিবারের কাউকে ওই পদে বসানো হোক। আর মহম্মদ ইকবাল হাজতে থাকায় বাড়তি সুবিধায় রয়েছে আনসারি গোষ্ঠী। অন্য দিকে, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ঘনিষ্ঠ মহল আনসারির পরিবারের কাউকে ওই পদে চান না। তাঁরা চেষ্টা করছেন চেয়ারম্যান পদে অন্য কারও নাম উঠে আসুক। এখানে মোট ৯টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের সাত, বামফ্রন্টের দুই।
পুরসভা সূত্রের খবর, অবস্থা সামাল দিতে ৭ নম্বর বরোয় নির্বাচন হবে একেবারে শেষ পর্বে, ২৯ এপ্রিল। তার আগেই ১৮ এপ্রিল অবশ্য ১৫ নম্বর বরো নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেছে পুর-প্রশাসন। |