১৫ নম্বর বরো চেয়ারম্যান, গার্ডেনরিচের তৃণমূল নেতা মহম্মদ ইকবালকে সাত দিনের জেল হেফাজত দিলেন আলিপুর আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সুরঞ্জন মণ্ডল।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি হরিমোহন ঘোষ কলেজের মনোনয়নপত্র দাখিলকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের ঘটনায় খুনের চেষ্টা ও সংঘর্ষ বাধানোয় জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে পটনা থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তার পর থেকে তিনি ২১ দিন পুলিশি হেফাজতে ছিলেন। বৃহস্পতিবার এই মামলায় বরো চেয়ারম্যানকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তাঁর বিরুদ্ধে গার্ডেনরিচ থানায় দু’টি মামলা চলছে।
এ দিন মুন্নার আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় তাঁর মক্কেলের জামিনের আবেদন করে বলেন, “গত ২১ দিন মুন্না পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। অথচ, তাঁর কাছ থেকে কোনও অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তদন্তের কোনও অগ্রগতি হয়নি। মুন্না অসুস্থ। তিনি পুরপ্রতিনিধি। এলাকা ছেড়ে যাওয়ার প্রশ্নই নেই।” সিআইডি-র তরফে সরকারি আইনজীবী শ্যামাদাস গঙ্গোপাধ্যায় আবার মুন্নার জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, “তদন্তের স্বার্থে জামিন মঞ্জুর করা যায় না। এতে তদন্ত বিঘ্নিত হতে পারে। তা ছাড়া, মুন্নার শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার (টিআই প্যারেড) প্রয়োজন রয়েছে।”
মুন্নার আইনজীবী পাল্টা বলেন, “গ্রেফতারের পরে মুন্নার ছবি সব সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে শনাক্তকরণ অপ্রয়োজনীয়।” দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে বিচারক ফের তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সিআইডি-র দাবি অনুযায়ী মুন্নাকে শনাক্তকরণের আর্জিও মঞ্জুর করেন বিচারক।
এ দিন আদালত চত্বরে মহম্মদ ইকবালের সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ৪০টি লরিতে মহিলা-সহ হাজার দেড়েক মানুষ আদালতের ভিতরে ও বাইরে হাজির হন। লরিতে কালো পতাকা সাঁটা ছিল। কয়েক জন সমর্থকের হাতে কালো পতাকাও ছিল। তবে এ দিন আলিপুর আদালত চত্বরে পুলিশি ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো রাখা হয়েছিল। এ দিন ধৃতের সঙ্গে দেখা করেন তাঁর ছেলে ও মেয়ে। |