সারা রাত মৃতদেহটির কোনও দাবিদার ছিল না। দোলের সন্ধ্যায় বাসন্তী রোডের ধারে ট্রেলারের সঙ্গে মোটরবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত বাইক আরোহীর দেহটি রাখা ছিল কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানাতেই। মৃতের
|
আবদুল মোমিন |
বাড়ির লোকজন সারা রাত ধরে খোঁজ না পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে কসবা থানায় ‘মিসিং’ ডায়েরি করতে গিয়ে জানতে পারেন, বানতলার কাঁটাতলায় বুধবার সন্ধ্যার দুর্ঘটনায় যিনি মারা গিয়েছেন, তিনি কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ফরজানা আলমের স্বামী আবদুল মোমিন (৫২)। তিনি পেশায় কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ছিলেন। আবদুলের পরিবারের লোকজন পরে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় গিয়ে দেহটি শনাক্ত করেন।দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় বাসন্তী রোডের ধারে কাঁটাতলায় বুধবার সন্ধ্যা সওয়া ৬টা নাগাদ একটি ট্রেলারের সঙ্গে মোটরবাইক আরোহী আবদুলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মাথায় গুরুতর চোট পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। টহলরত পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে মৃতদেহটি কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে জানান, আবদুলের মাথায় হেলমেট ছিল না। |
ডেপুটি মেয়রের পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরে ভোজেরহাটে পরিচিত একজনের বাড়িতে যাচ্ছেন বলে আবদুল মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়েছিলেন। বিকেল পাঁচটা নাগাদ তাঁকে মোবাইলে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। সারা রাত তাঁর খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। শেষে বৃহস্পতিবার সকালে কসবা থানায় ডেপুটি মেয়রের ব্যক্তিগত সহায়ক মিসিং ডায়েরি করতে গিয়ে জানতে পারেন, বুধবার সন্ধ্যায় বাসন্তী রোডের ধারে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম আবদুল মোমিন। তা জেনে ডেপুটি মেয়রের বাড়ির লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ব্যক্তিগত সহায়ক কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় যান এবং আবদুল মোমিনের দেহ শনাক্ত করেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের এক আধিকারিক দাবি করেন, বুধবার রাতেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত মোটরবাইকের নম্বর পরীক্ষা করে জানা যায়, মৃত ব্যক্তির নাম আবদুল মোমিন। তাঁর বাড়ি কসবা থানা এলাকায় বেদিয়াপাড়ায় মসজিদ বাড়ি স্ট্রিটে। ওই রাতেই দুর্ঘটনার খবর কসবা থানাকে জানানো হয়। যদিও কসবা থানার দাবি, দুর্ঘটনার খবর জানানো হয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে। আবদুলের মৃত্যুর খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন সকালে তাঁর বেদিয়াপাড়ার বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দেন। কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আবদুল মোমিনের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক।” দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য কাঁটাপুকুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। |