কেতুগ্রামের ছোট রেলে ঘটে যাওয়া ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা সংযুক্ত করে বিচার চালানো হবে বলে সোমবার রায় দিলেন কাটোয়ার অতিরিক্ত জেলা জজ ও দায়রা আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক সৈয়দ নেহাজুদ্দিন আজাদ। আগামী ১৪ মে ওই দু’টি মামলার সমস্ত অভিযুক্তকে আদালতে হাজির থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০১২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি কাটোয়া-আমোদপুর ন্যারোগেজ লাইনে ট্রেনে ডাকাতি করার সময় পাঁচুন্দি স্টেশনের কাছে এক মহিলাকে ট্রেন থেকে নামিয় ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোট রেলে ডাকাতি ও ট্রেন থেকে নামিয়ে ধর্ষণ, এই দু’টি ঘটনার জন্য পৃথক ভাবে দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ দু’টিই হয় কাটোয়ার রেল পুলিশের কাছে। পরে রেলের ডিজিও ও রাজ্যের আইজি (পশ্চিমাঞ্চল)-র পরামর্শে ডাকাতির ঘটনার তদন্ত করে রেল পুলিশ। আর কেতুগ্রাম থানা ধর্ষণের ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নেয়। তদন্তে নেমে সাত জনকে গ্রেফতার করে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। অভিযোগকারিণী ও তাঁর মেয়ে চার জনকে শনাক্ত করেন। তারা এখন জেল হেফাজতে। বাকি তিন জন জামিনে রয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, একই ঘটনায় দু’টি মামলা রয়েছে। অভিযুক্তরাও এক। ফলে মামলা দু’টিকে ট্যাগ করে বিচারের দাবিতে মার্চ মাসের গোড়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কেতুগ্রাম পুলিশ। ২২ মার্চ কলকাতা হাইকোর্ট কাটোয়ার এসিজেএমকে মামলা দু’টিকে একসঙ্গে করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে ওই নির্দেশ পাওয়ার আগেই ধর্ষণের মামলা দায়রা আদালতে চলে গিয়েছিল। ফলে কাটোয়ার এসিজেএম ডাকাতি ও ধর্ষণের মামলাকে তখন একত্র করতে পারেননি। বৃহস্পতিবার ডাকাতির মামলটিকে দায়রা আদালতে পাঠিয়ে দেন তিনি। অভিযুক্তদের আইনজীবী প্রসেনজিৎ সাহা ও মিজানুল কবীর বলেন, “ডাকাতি ও ধর্ষণের মামলা এক করে বিচার হবে। দু’টি ঘটনার দু’জন করে তদন্তকারি অফিসার, দুটি চার্জশিট, সাক্ষী আলাদা। এগুলি এক করে কীভাবে আদালতে বিচারের জন্য আসবে সেটাই দেখার।”
|