|
|
|
|
অসমে সারদা |
গগৈয়ের অনুরোধে সিবিআই গুয়াহাটিতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
অসমে সারদার কাজকর্ম নিয়ে তদন্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ নিজেই সিবিআইকে টেলিফোন করে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আগামী কাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার একটি দল গুয়াহাটি আসছে। গগৈ নিজেই এ কথা জানিয়ে বলেন, “আমি দিল্লিতে সিবিআই তদন্ত শুরুর আবেদন জানিয়ে ফোন করেছিলাম। আনুষ্ঠানিকতা সারতে একটু সময় লাগবে। তবে কালই সিবিআইয়ের একটি দল অসমে আসছে। তাঁরা প্রাথমিক ভাবে মামলাগুলি খতিয়ে দেখবেন।” তিনি জানান, কোন কোন মামলা সিবিআই প্রথমে হাতে নেবে, তা ঠিক হলে, সেই মতো রাজ্য সরকার মামলা হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিক চিঠি কেন্দ্রের কাছে পাঠাবে।
পাশাপাশি, নজরদারি ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে মুখ্যমন্ত্রী একটি কমিশন তৈরির কথাও আজ ঘোষণা করেছেন। তিনি জানান, রাজ্যের নতুন আইন অনুযায়ী জেলায় স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প সংক্রান্ত ব্যবসা শুরুর আগে কেবল ‘ট্রেড লাইসেন্স’ নিলেই হবে না, জেলাশাসকের কাছ থেকেও লাইসেন্স নিতে হবে। লাইসেন্স দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সংস্থার অতীত রেকর্ড ও বর্তমান সম্পত্তি ও পুঁজির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হবে।
গুয়াহাটিতে গগৈ বলেন, “রাজ্য সরকার দু’বছর ধরে এই ধরনের সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে সক্রিয়। নিজে থেকেই আমরা এমন সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছিলাম। ইতিমধ্যে ১২৮টি সংস্থার বিরুদ্ধে পুলিশে ২৪৬টি মামলা হয়েছে। পুলিশ ৩০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। ১০৬টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আটক করা হয়েছে। ৪০ কোটি টাকা ও ৯০ একর জমিও বাজেয়াপ্ত করেছে অসম পুলিশ ও সিআইডি। যা অন্য কোনও রাজ্যে এত দিন হয়নি।” গগৈ জানান, সারদা, জীবন সুরক্ষা, রোজ ভ্যালী, ইউনি পে টু ইউ, ভাসিল, অ্যাবিস, অ্যালায়েন্স, ড্যাফোডিল-সহ মোট ১১টি সংস্থার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ বিষয়ে সিবিআইকে অবহিত করা হবে।
এক প্রভাবশালী মন্ত্রী, প্রাক্তন পুলিশ প্রধান, প্রকাশনা পরিষদের সচিবের বিরুদ্ধে সারদার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যারা প্রতারণা করেছে এবং যাঁরা সুরক্ষা দিয়েছে দু’পক্ষই সমান দোষী। ডিজি-র সঙ্গে চিট ফান্ডের ঘনিষ্ঠতা উদ্বেগজনক ঘটনা। দোষ প্রমাণ হলে কাউকেই ছাড়া হবে না।”
|
পুরনো খবর: সিবিআই তদন্ত চাইলেন গগৈ, চাপ বামেদেরও |
|
|
|
|
|