|
|
|
|
বিহার |
ধর্ষণ মোকাবিলায় মোবাইলের অশ্লীল ছবিতে নজরদারি
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে বিহার পুলিশ ‘সহজ লভ্য’ যৌন ছবি ও মোবাইলের এমএমএস-কেই চিহ্নিত করেছে। উদ্বিগ্ন পুলিশ প্রশাসন মনে করছে, ধর্ষণ-শ্লীলতাহানীর ঘটনা যৌন মানসিক বিকারের প্রতিফলন। আর এই মানসিক বিকৃতি বাড়িয়ে চলেছে যৌন ছবি। এক পুলিশ কর্তার কথায়, ধর্ষণকারীদের মোবাইল বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তাঁরা দেখেছেন, শতকরা ৯৯ ভাগ ক্ষেত্রে ধর্ষকের মোবাইল ফোনে নানাবিধ যৌন ছবি, ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। অভিযুক্তদের জেরা করতে গিয়ে পুলিশ দেখেছে, অপকর্মের পিছনে এই প্রযুক্তি অন্যতম মূল কারণ। এর পরেই সাইবার কাফে, মোবাইল বিক্রির ছোট দোকান এবং রিচার্জের দোকানে নজরদারি চালাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিহার পুলিশ।
ইতিমধ্যেই পটনার ৫০০টি এমন দোকানে বিশেষ নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। কয়েক দিন আগে পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন। এর থেকে বাদ নেই রাজধানীও। দু’মাস আগে সাসারামের পুলিশ সুপার মনু মহারাজকে পটনায় সিনিয়র পুলিশ সুপার পদে নিয়ে আসা হয়েছে। আপাতত এসএসপি-র নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়েছে।
পুলিশি পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে, এই ধরনের সাইবার কাফে বা ছোট দোকানগুলি স্কুল এবং কলেজগুলির কাছে বেশি করে গড়ে উঠছে। স্থির চিত্র বা ভিডিও ফুটেজের চাহিদা সব থেকে বেশি। তুলনায় ডিভিডি-র চাহিদা কম। কারণ ডিভিডি দেখার জন্য সরঞ্জামের প্রয়োজন, নিরাপদ জায়গাও দরকার।
কিন্তু মোবাইলে এই ধরনের ছবি ডাউনলোড করা অনেক সহজ। মনু মহারাজের কথায়, “তথ্য সম্প্রচার আইনে এই ব্যাপারে শাস্তির বিধান নির্দিষ্ট করা আছে। তাতে তিন বছর পর্যন্ত জেল ও পাঁচ লক্ষ্য টাকা জরিমানা হতে পারে। এ বার সেই আইনকে কঠোর ভাবে প্রয়োগ করা হবে।” পুলিশ জানতে পেরেছে, এই সব ছবি মোবাইলে ডাউনলোড করতে খরচও কম। মাত্র ১০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে সময় এবং গুণমান অনুযায়ী ছবি ডাউনলোড করা যায়। ফলে সস্তার এই ছবি অতি সহজেই নিজেদের মোবাইলে ডাউনলোড করে অপরাধীর মন আরও বেশি করে বিষাক্ত হয়ে উঠছে। মনু মহারাজ বলেছেন, “ধর্ষণের ঘটনার পিছনে পর্নো ছবির ভুমিকা আছে। ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে নেমে এই সব সাইবার কাফে বা মোবাইল চার্জারের দোকানগুলির কথা জানা যায়। তার পরেই সে সব জায়গায় বিশেষ ভাবে নজরদারি বাড়ানোর কথা ভাবা হয়েছে। আমরা কী ভাবে এই নজরদারি চালাব তা এখনই বলতে চাইছি না। এর জন্য বিশেষ একটি দলও গঠন করা হতে পারে।” |
|
|
|
|
|