|
|
|
|
| |
| দেওঘর |
বাবাধামে গড়া হচ্ছে ২০ হাজার ভক্তের প্রতীক্ষালয়
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
ভিড়ের চাপ এড়াতে ‘অর্ঘ্য সিস্টেম’ আর ‘বার কোড’ ব্যবস্থার পরে পূণ্যার্থীদের ঢল সামলাতে দেওঘরের বাবাধামে এ বার কিউ-কমপ্লেক্স তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকার। এই কমপ্লেক্স চত্বরে একসঙ্গে কুড়ি হাজার পূণ্যার্থীকে জায়গা দেওয়া সম্ভব হবে বলেই দাবি ঝাড়খণ্ড সরকারের। আগামী কাল তারিখ দেওঘরে তিন তলা বিশিষ্ট ওই পূণ্যার্থী প্রতীক্ষালয়ের শিলান্যাস করবেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।
শ্রাবণী মেলা, রামনবমী-সহ একাধিক উৎসবে দেওঘরের বৈদ্যনাথ ধামে পূণ্যার্থীদের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মন্দিরে পুজো দিতে আসেন কয়েক লক্ষ ভক্ত। ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় প্রশাসনকে। দু’বছরের মধ্যে ওই বাড়িটি তৈরি হবে বলেই দাবি করেছেন দেওঘরের ডেপুটি কমিশনার রাহুল পুরওয়ার।
দেওঘর জেলা প্রশাসনের কথায়, উৎসবের সময় এত বিপুল পরিমাণ ভক্ত সমাগমকে নিয়ন্ত্রণ করার উপযুক্ত ব্যবস্থা দেওঘরে এখনও পর্যন্ত কিছু নেই। প্রস্তাবিত ওই বাড়িটিতে অন্তত কুড়ি হাজার পূণ্যার্থীকে প্রতিদিন জায়গা দেওয়া সম্ভব হবে। প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, কুপনের মাধ্যমে পুজো দেওয়ার সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। ফলে পূণ্যার্থীদের মন্দিরের সামনে ভিড় করতে হবে না। কিউ কমপ্লেক্সে তাঁরা অপেক্ষা করবেন। এর পর নির্ধারিত সময়ে মন্দিরে এসে পুজো দিয়ে চলে যাবেন। ফলে ভিড় নিয়ন্ত্রণের কাজ অনেক সুশৃঙ্খলভাবে করা সম্ভব হবে। ডেপুটি কমিশনার জানান, তিন তলা বাড়ি-সহ চত্বরটিতে পূণ্যার্থীদের থাকা, খাওয়া এবং বিশ্রামের ব্যবস্থা রাখা হবে। একই সঙ্গে পূণ্যার্থীরা সেখানে রাত্রি যাপন করতে পারেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁর কথায়, “দক্ষিণ ভারতের তিরুপতিতে এই ধরনের কিউ কমপ্লেক্সের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে পূণ্যার্থীরা পুজো দেওয়ার আগে অপেক্ষা করতে পারেন। সেই আদলেই গড়ে উঠবে দেওঘরের পূণ্যার্থীদের প্রতীক্ষালয়টি।” উৎসবের সময় ছাড়া অন্যান্য সময় ওই কিউ কমপ্লেক্সটি বিয়েবাড়ি, কনফারেন্সের মতো নানা প্রয়োজনে ভাড়া দেওয়া হবে বলেও জানান ডেপুটি কমিশনার। উল্লেখ্য, গত বছর দেওঘরের একটি আশ্রমে এবং সম্প্রতি ইলাহাবাদ মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে পূণ্যার্থীদের মৃত্যুর পর থেকেই ঝাড়খণ্ড সরকার দেওঘরের বৈদ্যনাথ মন্দিরে ভিড় নিয়ন্ত্রণের দিকটি শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। ভক্তদের নিরাপত্তার কারণেই আগামী শ্রাবণী মেলায় এই প্রথম বার মন্দিরের গর্ভগৃহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। |
|
|
 |
|
|
