বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে কাটা পড়েছে ফোনের তার।
বিশ্বভারতীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে টেলিফোন পরিষেবা। নিজস্ব চিত্র। |
গত ৪৮ প্রায় ঘণ্টা ধরে বিপর্যস্ত থাকার পরে বোলপুরে স্বাভাবিক হল টেলি পরিষেবা। সোমবার বিএসএনএল-এর তরফে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল জমা দিয়ে দেওয়ায় বিপর্যয় কাটে। কয়েক লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকায় শনিবারই বিএসএনএল-এর বোলপুর মহকুমা এলাকার একাধিক এক্সচেঞ্জ ও টাওয়ারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল বিদ্যুৎ দফতর। বিএসএনএল-এর বীরভূমের জেনারেল ম্যানেজার সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “বকেয়া টাকা মেটানো হয়েছে। গ্রাহক পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে।” বোলপুরের বিদ্যুৎ দফতরের গ্রাহক পরিষেবাকেন্দ্রের স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল গফ্ফর ও শান্তিনিকেতন গ্রাহক পরিষেবাকেন্দ্রের স্টেশন ম্যানেজার পুষ্পেন্দু পাল জানিয়েছেন, বকেয়া বিলের টাকা পাওয়ার পরই কেটে দেওয়া বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় জুড়ে দেওয়া হয়েছে।” |
সিউড়ির পরে এ বার রামপুরহাটেও প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থা ‘সানমার্গ সুরাহা মাইক্রো ফিনান্স’-এর এজেন্টরা। সোমবার সংস্থার কর্ণধার দিলীপরঞ্জন নাথ-এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রামপুরহাটের মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানালেন তাঁরা। পাশাপাশি ওই এজেন্টরা প্রশাসনের কাছে নিজেদের মানসিক ও শারীরিক সুরক্ষা দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন। মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায় বলেন, “বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনব।” ওই এজেন্টদের দাবি, গত ৪ মার্চ অবস্থান বিক্ষোভ ও অনশন কর্মসূচির মাধ্যমে তাঁরা সমস্ত বিষয়টি জেলাশাসককে লিখিত আকারে জানিয়েছিলেন। তারপরে এতদিন কেটে গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এজেন্টদের দাবি, রামপুরহাটে এ ব্যাপারে সংস্থার একজন বড় এজেন্টকে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এক এজেন্ট বলেন, “বর্তমানে আমানতকারীরা আমাদের কাছে তাঁদের টাকা ফেরত চাইছেন। আমরা এখন অনেকেই বাড়িছাড়া। আমরা কোথা থেকে টাকা দেব?” এই পরিস্থিতিতে তাঁরাও চাইছেন ‘সারদা’র এজেন্ট ও গ্রাহকদের পাশে রাজ্য সরকার যে ভাবে দাঁড়িয়েছেন, একই ভাবে তাঁদেরও সাহায্য করুক। |