কারখানায় অহেতুক আন্দোলন নিয়ে তৃণমূলের জেলা নেতাদের মতানৈক্য আবারও সামনে এসে গেল। সোমবার পালশিটের একটি কাগজকলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রকাশ্য মঞ্চেই একে অপরকে সরাসরি বিঁধলেন নেতারা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “এই কাগজকলে যে কাগজ তৈরি হবে সেই ক্রাফট পেপারের বাজারে চাহিদা রয়েছে। পূর্বস্থলির সমূদ্রগড়ে একটি কাগজকল তৈরি হয়েছিল যার কাগজ বিদেশে রফতানি হতো। কিন্তু শ্রমিক অসন্তোষে সেটি বর্তমানে বন্ধ।” তারপরেই আইএনটিটিইউসি নেতা গোলাম জার্জিসকে লক্ষ্য করে সরাসরি বলেন, “গোলাম জার্জিসদের বলছি, আমাদের রাজ্যের সর্বত্রই তো কারখানা শুরু হতেই ইউনিয়ানবাজি শুরু হয়ে যায়। তীব্র শ্রমিক অন্দোলন হয়, বাড়তি শ্রমিক নিতে চাপ তৈরি হয়। এসবের জেরে কারখানা বন্ধও হয়ে যায়। দেখবেন এখানে যেন আবার সেসব করবেন না।” এরপরে অবশ্য সুর একটু নরম হয় তাঁর। বলেন, “যা বললাম তাতে কিছু মনে করবেন না গোলাম সাহেব। বাম আমলের মতো আমাদের মা-মাটি-মানুষের সরকারের সময়ে যেন কারখানা বন্ধ করিয়ে দেওয়াই শ্রমিক আন্দোলনোর লক্ষ না হয়ে ওঠে, সে দিকে নজর দেবেন।” গোলাম জার্জিস অবশ্য এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
পালশিটে জিটি রোডের পাশে এই কাগজ কারখানাটি প্রায় ২৪ বিঘে জমির উপরে তৈরি হয়েছে। এ দিন এটির উদ্বোধন করেন পরিবহন তথা ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। তিনি বলেন, “সৎ ভাবে কারখানা চালালে আমি তাঁদের পাশে আছি।” তবে জামালপুরের বিধায়ক উজ্জ্বল প্রামানিক মঞ্চেই স্বপনবাবুর বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন। তিনি কারকানা মালিকদের নাম করে বলেন, আশা করি কারকানাটি ওঁরা ভালই চালাবেন। তবে মালিকপক্ষের হয়ে নয় বরং শ্রমিকদের দাবিদাওয়ার জন্যই তাঁরা লড়াই করবেন বলে জানান। তিনি বলেন, “আমরা চাই প্রতিটি কারখানার শ্রমিকেরা তাঁদের দাবি আদায় করুন আন্দোলন করে। আমরা তাঁদেরই পাশে রয়েছি।” |