|
|
|
|
কয়লা কেলেঙ্কারি |
কয়লাখনি বণ্টনে অনিয়ম, সরব সংসদীয় কমিটি |
অগ্নি রায় • নয়াদিল্লি |
আগামী কাল সংসদে কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে মনমোহন সিংহ সরকারকে চাপে ফেলার চেষ্টা করবেন বিরোধীরা। অভিযোগ, কয়লাখনি বণ্টনে দীর্ঘদিন ধরে বেনিয়ম হচ্ছে এবং এই বন্টনের ফলে কী পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়েছে তা নিয়ে বিশদ তথ্য কেন্দ্রের কাছে নেই। কয়লা এবং ইস্পাত বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি আগামী কাল এই নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করবে লোকসভায়। সূত্রের খবর, সমস্ত ‘বেআইনি’ খনিগুলির লাইসেন্স বাতিল করার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানাতে চলেছে ওই কমিটি।
কয়লা এবং ইস্পাত বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে। সূত্রের খবর, কয়লা মন্ত্রকের সচিবকে ডেকে কমিটি এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
সম্প্রতি কয়লা কেলেঙ্কারির অভিযোগে নতুন মোড় আসায় বিড়ম্বনা এমনিতেই বেড়ে গিয়েছে সনিয়া গাঁধী-মনমোহন সিংহের। ওই কেলেঙ্কারির তদন্ত নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে বন্ধ খামে দেওয়া সিবিআইয়ের রিপোর্ট কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমারকে দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। কুমারের ‘পরামর্শে’ তাতে কিছু পরিবর্তন করা হয় বলেও দাবি করেছে সংবাদমাধ্যমের একাংশ। অভিযোগ, পরে ওই রিপোর্ট দেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অফিসাররাও। অথচ স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে মুখবন্ধ খামে শীর্ষ আদালতে দেওয়া সিবিআইয়ের রিপোর্ট প্রশাসনের দেখার কথা নয়।
সূত্রের খবর, আগামী কাল কমিটির ওই রিপোর্টে বলা হবে, কয়লাখনি বণ্টনের ক্ষেত্রে ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৮ পর্যন্ত স্বচ্ছতার ব্যাপক অভাব দেখা গিয়েছে। কোনও নিলামই করা হয়নি। আইনের চূড়ান্ত অবমাননা করা হয়েছে। কমিটির দাবি, এই বেআইনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ যে বা যাঁরা করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হোক এবং উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। যে সমস্ত বেসরকারি সংস্থাগুলিকে অস্বচ্ছভাবে খনি বণ্টন করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হবে রিপোর্টে।
সংসদীয় কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে বামেরাও সরকারকে আক্রমণ করার কৌশল নিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এর আগে অণ্ণা হজারে শিবির পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট সরকারের আমলেও কয়লাখনি বণ্টন নিয়ে মনমোহন সিংহের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল। কেন্দ্র জানায়, বামফ্রন্ট সরকারই নিলামের মাধ্যমে কয়লাখনি বণ্টনে আপত্তি তুলেছিল। মমতা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
|
পুরনো খবর: সিবিআইয়ের গোপন রিপোর্ট দেখেছিলেন আইনমন্ত্রী, দাবি |
|
|
|
|
|