|
|
|
|
কয়লা কেলেঙ্কারি |
সিবিআইয়ের গোপন রিপোর্ট দেখেছিলেন আইনমন্ত্রী, দাবি |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
কয়লা কেলেঙ্কারির অভিযোগে নতুন মোড় আসায় বিড়ম্বনা বাড়ল সনিয়া গাঁধী-মনমোহন সিংহের।
ওই কেলেঙ্কারির তদন্ত নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে বন্ধ খামে দেওয়া সিবিআইয়ের রিপোর্ট কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার দেখেছিলেন বলে শীর্ষ আদালতকে জানাতে পারে সিবিআই। কুমারের ‘পরামর্শে’ তাতে কিছু পরিবর্তন করা হয় বলেও দাবি করেছে সংবাদমাধ্যমের একাংশ। ৮ মার্চ কোর্টে রিপোর্ট পেশের কয়েক দিন আগে ডিরেক্টর রঞ্জিত সিন্হা-সহ কয়েক জন শীর্ষ সিবিআই কর্তাকে ডেকে পাঠান আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার। কয়লা কেলেঙ্কারির রিপোর্ট খতিয়ে দেখে কিছু পরিবর্তন করার কথা বলেন তিনি। সিবিআই অফিসাররা আপত্তি জানালেও রিপোর্ট কিছুটা বদলানো হয়।
অভিযোগ, পরে ওই রিপোর্ট দেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অফিসাররাও। অথচ স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে মুখবন্ধ খামে শীর্ষ আদালতে দেওয়া সিবিআইয়ের রিপোর্ট প্রশাসনের কারও দেখার কথা নয়।
বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে কয়লাখনি বণ্টনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব থাকায় সরকারের ১ লক্ষ ৮৫ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে গত বছর জানিয়েছিল কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)। যে সময়ে এই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, সেই সময় কয়লা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন স্বয়ং মনমোহন সিংহই।
সিবিআইয়ের অপব্যবহার নিয়ে বরাবরই সরব বিজেপির মতো বিরোধী দল। কয়লা দুর্নীতিতে অভিযোগের তির যখন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দিকেই যাচ্ছে, সেই সময় মনমোহন সিংহের ঘনিষ্ঠ আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার তাঁকে আড়াল করতেই উদ্যোগী হয়েছেন বলে বিজেপির অভিযোগ। এমনকী সিবিআইয়ের কাজে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেও সংসদ শুরুর আগে সুর চড়ানো শুরু করেছে বিজেপি। সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলির মতো বিজেপির শীর্ষ নেতারা আজ ময়দানে নেমে আক্রমণ শানান। কয়লা দুর্নীতির ভার সরাসরি সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষ তদন্তকারী দলের হাতে তুলে দেওয়ারও দাবি জানান তাঁরা। আইনমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বিজেপি ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর উপরেই চাপ বাড়াতে চেয়েছে।
মনমোহন সিংহ গোড়া থেকে অবশ্য দাবি করে এসেছেন, আর্থিক বিষয় পর্যালোচনা করেই নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ এই অভিযোগ নিয়ে রাজধানী উত্তাল হওয়ার পর সন্ধ্যায় কংগ্রেসের কোর গ্রুপের বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠকে সনিয়া-মনমোহন ছাড়া ছিলেন আইনমন্ত্রীও। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পরে জানানো হয়, সনিয়া গাঁধী গোটা বিষয়টিতে ক্ষুব্ধ। কিন্তু বিজেপির দাবি, বেগতিক দেখেই গোটা ঘটনা থেকে দূরত্ব রাখার জন্য কংগ্রেস প্রচার করছে সনিয়ার ক্ষোভের কথা। সনিয়া নিজেকে দূরে রেখে গোটা দায় সরকারের উপরেই চাপিয়ে দিতে চান। সরকারের পাল্টা বক্তব্য, মন্ত্রীরা বিভিন্ন সময় আমলাদের ডেকে আলোচনা করেই থাকেন। তাই বলে রিপোর্টে যে পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে, সেটি কে বলছে? সিবিআইয়ের ডিরেক্টরও এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি।
কংগ্রেস মুখপাত্র রশিদ অলভির দাবি, “সিবিআইয়ের কাজে কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করা হয়নি। আইনমন্ত্রীর ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে হলফনামা দিতে বলেছে। তাতেই সত্য জানা যাবে।” |
পুরনো খবর: প্রণবের কাছে সনিয়া, কথা সুষমার সঙ্গেও |
|
|
|
|
|