প্রশাসনের থেকে সাহায্যের আশ্বাস পেয়ে কন্যা সন্তান বিক্রি করবেন না বলে জানালেন মণিরাম কার্জি। শুক্রবার ফালাকাটার বিডিও কৃষ্ণকান্ত ঘোষ ছোট শালকুমার পঞ্চায়েতের শিবনাথপুরের কার্জিপাড়ার ওই বাসিন্দাকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। বিডিও অফিস থেকে পরিবারটির জন্য ৬০ কিলোগ্রাম চাল, ২৪০ টাকা, সকলের জামাকাপড়, ২টি ত্রিপল দেওয়া হয়। বিডিও অফিসে যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয় তাঁকে। মণিরাম কার্জির শিশুকন্যা ও অন্যদের অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের হস্টেলে রাখা হবে বলে বিডিও জানিয়েছেন। পাকাপাকি ভাবে তাঁদের দুর্দশা ঘোচাতে দফতরের নানা প্রকল্পে দায়িত্বে থাকা পাঁচ অফিসারকে নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করেছেন বিডিও। কমিটির রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। বিডিও বলেন, “জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সাহায্য নিয়ে ওঁদের জন্য সব ব্যবস্থা হবে।”
ফালাকাটা থেকে ১৭ কিমি দূরে শিবনাথপুর মেচবস্তির মণিরাম কার্জির দুই মেয়ে, তিন ছেলে। গ্রাম লাগোয়া জলদাপাড়া জঙ্গল থেকে শাকপাতা সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে সংসার চলে। রোজগার না হলে খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। আলুর মরসুম তাই চালের থেকে সস্তা দরে আলু মেলায় এখন গোটা পরিবার আলুসেদ্ধ খেয়ে দিন কাটান। দারিদ্রের কারণে বছর তিনেক আগে আট বছর বয়সী এক মেয়েকে বীরপাড়ার এক দম্পতির হাতে তুলে দেন। সম্প্রতি পাঁচ বছর বয়সী ছোট মেয়েকে বিক্রি করবেন বলে কয়েক জনের সঙ্গে কথাবার্তা বলে ৮ হাজার চান। ওই খবর চাউর হতে প্রশাসন উদ্যোগী হয়। এদিন মণিরাম বলেন, “আমি অসুস্থ বলে ঠিক মতো কাজ করতে পারি না। ভাল বাড়িতে মেয়ে বড় হলে দু’বেলা খাবার পাবে। তাই মেয়ের মত ছোট মেয়েকেও অন্যের হাতে দিতে চেয়েছিলাম। টাকা পেতাম। এখন সরকার যখন সাহায্য করছে তখন মেয়েকে ঘরেই রাখব। অবস্থা একটু ফিরলে, নিজে সুস্থ হলে বড় মেয়েকে নিয়ে আসার চেষ্টা করব।”
|