আয় বাড়ানোর পাশাপাশি শহরবাসীর সুবিধের কথা মাথায় রেখে এই প্রথমবার ক্যাম্প করে মিউটেশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। শুক্রবার থেকে পাঁচটি বরো অফিসে ক্যাম্প করে এই মিউটেশনের কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার ও রবিবারও এই মিউটেশনের কাজ চলবে। এ দিনই বাড়ির ডিডের কাগজ, শেষ দেওয়া খাজনার কাগজ নিয়ে বরো অফিসে হাজির হয়েছিলেন অনেকেই। প্রথম দিনেই পুরসভার আয় হয়েছে ১০ লক্ষ ৪৩ হাজার।
পুরসভায় কাজের জন্য এসে নানা কাগজপত্রের ঝামেলায় পড়তে হয় বলে আসতে চান না অনেকেই। পাশাপাশি রয়েছে কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতাও। মিউটেশন না হওয়ায় করা আদায়ও অনেক কম হয়। মিউটেশন হওয়ার ফলে পুরসভার আয় বাড়বে বলে আশাবাদী পুরকর্তারা। এক দিকে পুরসভার আয় বৃদ্ধি, অন্য দিকে বাড়ির মালিকদের আইনি বৈধতা দিতে ক্যাম্প করে মিউটেশন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পুরসভার তরফে। এ দিন সর্বাধিক আয় হয় ২ নম্বর বরো ক্যাম্প থেকে। এই বরো অফিস থেকে এ দিন মোট ৫ লক্ষ ১৭ হাজার ৯৫৭ টাকা আয় হয়। তবে প্রতিটি বরো অফিসেই মিউটেশন বাবদ লক্ষাধিক টাকা জমা পড়ে। ১ নম্বর বরো থেকে এ দিন আয় হয় ৭৮ হাজার ১২০ টাকা, ৩ নম্বর থেকে আয়ের পরিমাণ ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৪৪৬ টাকা। ৪ নম্বর বরো থেকে এ দিন মিউটেশন বাবদ জমা পড়ে ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭১০ টাকা ও ৫ নম্বর থেকে পাওয়া যায় ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৮৬৩ টাকা। সম্পত্তি হস্তান্তর বা উত্তাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির ক্ষেত্রে পুরসভার মিউটেশন করানো বাধ্যত্যামূলক। কিন্তু নানা ঝঞ্ঝাটের কারণে অনেকেই মিউটেশন করাতে আসেন না। সম্পত্তির নামজারি করার ক্ষেত্রে সরলীকরণ করতেই এই উদ্যোগ বলে জানান পূর্ত বিভাগের দায়িত্বে থাকা মেয়র পারিষদ সুজয় ঘটক। এ দিন কাগজপত্র দেখে টাকা জমা নেওয়া হয়েছে, আগামী ২ মে থেকে বরো অফিস থেকে মিউটেশনের কাগজ দেওয়া হবে বলে জানান সুজয় ঘটক। |