হাত বাঁধা অবস্থায় ভারসাম্যহীন এক যুবককে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দিলেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা। বৃহস্পতিবার রাতে লাটাগুড়ির মহাকালপাড়া এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখে সংস্থার কর্মীরা যুবককে উদ্ধার করেন। ওই সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবকের নাম রণজিত্ সিকদার। বাড়ি ময়নাগুড়ির দোহমনি-১ পঞ্চায়েতের অধীন বাসুসুবা এলাকায়।
ঘটনার খবর পাওয়ার পরে স্বাস্থ্য কর্মী পাঠিয়ে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীর খোঁজ নিতে উদ্যোগী ময়নাগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ বাগ। তিনি বলেন, “বেড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা অমানবিক। শুনেছি শিলিগুড়িতে ওর চিকিত্সা চলছে। ওকে বেঁধে না রাখলে পালিয়ে যায়। ওষুধ খাওয়ানো সম্ভব হয় না। খোঁজ নিয়ে কী করা যায় সেটা দেখা হচ্ছে।” ব্লক প্রশাসনের কর্তারা ঘটনার কথা শুনে অবাক হয়েছেন। ময়নাগুড়ির ভারপ্রাপ্ত বিডিও সমরেশ রায় বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখব।”
বৃহস্পতিবার রাতে ওই যুবককে লাটাগুড়ির মহাকালপাড়া এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। খবর পেয়ে যুবকের সঙ্গে কথা বলেন সংস্থার ছেলেরা। পরে তাঁরা অ্যাম্বুলেন্সে তুলে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে শুক্রবার সকালে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। যুবকের মা কমলা দেবী জানান, ৪ ছেলের মধ্যে রণজিত্ বড়। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় সে ভারসাম্য হারায়। জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ির কয়েকজন চিকিত্সককে দেখানো হয়। এখনও শিলিগুড়ির এক চিকিত্সকের অধীনে রয়েছে সে। তিনি বলেন, “চিকিত্সার পরে কয়েক মাস সুস্থ থাকে। ফের অসুস্থ হয়। এ বার ভাদ্র মাস থেকে অসুস্থ। সুযোগ পেলে পালিয়ে যায়। হাতের কাছে বাড়ির কাউকে পেলে মারধর করে। বেঁধে রেখে ওষুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হয়েছে।” গ্রিন লেবেল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের অনির্বাণ মজুমদার বলেন, “যুবককে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার পরে বেড়ি খুলে দিতে বলা হয়েছে।” |