আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এক বছর স্ত্রীকে ভরণপোষণের টাকা না দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে শামুকতলার কামারপাড়া গ্রামে। ধৃত স্বপন চক্রবর্তী টটপাড়া আরআর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি সিপিএম প্রভাবিত নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। ১৯৯৩ সালে আলিপুরদুয়ার শ্যামাপ্রসাদ কলোনির বাসিন্দা অর্চনা চক্রবর্তীর সঙ্গে কামারপাড়া গ্রামের স্বপনবাবুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অর্চনার উপর নির্যাতন শুরু করেন বলে অভিযোগ। ২০০৩ সালে স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা করেন অর্চনা দেবী। সে সময় থেকে এক পুত্র সন্তান নিয়ে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। আদালত ভরণপোষণ বাবদ অর্চনাদেবীকে প্রথমে আড়াই হাজার পরে মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়ার জন্য স্বপনবাবুকে নির্দেশ দেয়। কয়েক বছর টাকা ঠিকমতো দেওয়া হলেও পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এক বছর টাকা না পাওয়ায় ফের আদালতের দারস্থ হন অর্চনা দেবী। গত ৪ এপ্রিল আলিপুরদুয়ার মহকুমা আদালত স্বপনবাবুকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ পেয়ে স্বপনবাবুকে গ্রেফতার করা হয়। শামুকতলা থানার ওসি প্রবীণ প্রধান এ প্রসঙ্গে বলেন, “আদালতের নির্দেশ পেয়ে স্বপনবাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” অর্চনা দেবী এ দিন বলেন, “আমি একমাত্র ছেলেকে নিয়ে অসহায় জীবন কাটাচ্ছি। এক বছর ধরে ভরণপোষণের টাকা পাচ্ছি না। তাই বাধ্য হয়ে এখন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।” স্বপনবাবু বলেছেন, “আমি কোনও অন্যায় করিনি।” |