এ বার মেডিক্যাল নেই। কেবল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য এ বছরের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা হবে কাল, রবিবার। মেডিক্যালে দেশ জুড়ে অভিন্ন প্রবেশিকার মাধ্যমে ছাত্র ভর্তি শুরু হয়েছে বলেই এ বার জয়েন্ট এন্ট্রান্স হবে শুধু ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির জন্য। জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লক্ষ ২০ হাজার। রবিবার পরীক্ষা শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯টায়, চলবে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত। পরীক্ষা নেওয়া হবে গণিত, পদার্থবিদ্যা আর রসায়নের।
ভুয়ো পরীক্ষার্থী রুখতে এ বার অ্যাডমিট কার্ড তৈরিতে বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান বোর্ডের চেয়ারম্যান ভাস্কর গুপ্ত। তিনি বলেন, “এই অ্যাডমিট কার্ড সহজে জাল করা যাবে না।” এ ছাড়া বিভিন্ন স্তরে ছাত্রছাত্রীদের টিপসই নেওয়া এবং তা মিলিয়ে দেখা, পরীক্ষা চলাকালীন হাজিরা-পত্রে থাকা পরীক্ষার্থীদের ছবি ও সই মিলিয়ে দেখা হবে বলে চেয়ারম্যান জানান। তিনি বলেন, “এ বার আবেদনপত্র তোলা, জমা দেওয়া থেকে কাউন্সেলিং গোটা প্রক্রিয়াই অনলাইনে হওয়ায় ভুয়ো পরীক্ষার্থী ঠেকাতে বাড়তি বন্দোবস্ত করা গিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, পরীক্ষার দিন কোনও সমস্যা হবে না।”
হাজার ত্রিশেক আসনের জন্য গত বছর প্রায় এক লক্ষ ১০ হাজার ছাত্রছাত্রী জয়েন্ট এন্ট্রান্সে বসেছিলেন। এ বার আসনের সংখ্যা কত হবে, বোর্ডের চেয়ারম্যান ভাস্করবাবু শুক্রবার তা নির্দিষ্ট ভাবে জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, “অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই) কত আসন অনুমোদন করে, তা না-জেনে শূন্য আসনের সংখ্যা বলা যাবে না।” তবে এ বারেও সংখ্যাটা ৩০ হাজারের আশেপাশেই থাকবে বলে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর।
ভাস্করবাবু এ দিন জানান, পরীক্ষা হবে মোট ২৮৬টি কেন্দ্রে। তার মধ্যে ২৮২টি পশ্চিমবঙ্গে, তিনটি ত্রিপুরায় এবং একটি আসন শিলচরে। পরীক্ষা যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয়, সেই জন্য ৩০৬ জন পরিদর্শক থাকবেন পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে। বোর্ডের প্রতিনিধি এবং ভ্রাম্যমাণ পরিদর্শকেরাও থাকবেন সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য। ভাস্করবাবু জানান, পরীক্ষা শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯টায়। তার ১৫ মিনিট আগে নাম লেখার জন্য উত্তরপত্র দেওয়া হবে পরীক্ষার্থীদের।
চেয়ারম্যান বলেন, “পরীক্ষার সময় যে-কোনও সমস্যা জানাতে ৬০টি কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে।” আজ, শনিবার সকাল ১০টা থেকেই বেশ কিছু কন্ট্রোল রুম চালু হয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। কন্ট্রোল রুমের নম্বর: ৯৮৭৪৯৫৬০৬৩, ৯৮৭৪৯৫৬০৭৫, ০৩৩-২৩৬৭১১৩৭ (কলকাতা ও হাওড়া), ৯৮৭৪৯৫৬০৭৭ (উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা), ৯৮৭৪৯৫৬০১৯ (পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি), ৯৮৭৪৩৭৭৭০০ (বর্ধমান, বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া), ৯৮৭৪১৭৭৭০০ (নদিয়া, মুর্শিদাবাদ), ৯৮৭৪৫৭৭৭০০ (মালদহ ও দিনাজপুর), ৯৮৭৪৯৫৬০২৯ (দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার)। এ ছাড়া বোর্ডের অফিসের নম্বরেও ফোন করে সহায়তা পাওয়া যেতে পারে। নম্বরগুলি হল: ০৩৩-২৩৬৭১১৯৮/৯৯/৫৯/৪৮।
|