আগরপাড়া হত্যাকাণ্ডে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিলেন অভিযুক্ত নেপাল দাসের বাবা, মা ও ভাগ্নি। বৃহস্পতিবার রাতেই পাড়া-প্রতিবেশীর প্রবল বিক্ষোভের মধ্যে পুলিশ নেপালের বাবা তেজেন্দ্রনারায়ণ দাস ও মা নীহারকণাদেবীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। শুক্রবার ডেকে পাঠানো হয় নেপালের এক ভাগ্নি রুমি নাগকে।
বুধবার আগরপাড়ার মহাজাতি নগরে দাস-বাড়িতে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন বৃদ্ধা নীহারকণাদেবী ও কিশোরী রুমি। ঘটনার পর থেকেই ওই বাড়িতে থাকা নীহারকণাদেবীদের দেখতে পেলেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ কোনও রকমে তাঁদের এলাকা থেকে বার করে আনে। এ দিকে, আরজিকরে ভর্তি নেপাল এখন অনেকটাই সুস্থ এবং তাঁর মেয়ে রূপার অবস্থাও স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
বেলঘরিয়ার এডিসি বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “অভিযুক্তের বাবা-মা’র বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ এখনও নেই। তাই তাঁদের গ্রেফতারের প্রশ্নই ওঠে না। এই ঘটনায় নেপাল ছাড়া অন্য কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। চিকিৎসকেরা নেপালকে সুস্থ বলে ছাড়পত্র দিলেই আমরা তাকে আদালতে পেশ করব।” অন্য দিকে, নেপালের বৃদ্ধ বাবা-মায়ের বক্তব্য, “ছেলে যা করেছে, তাতে তারও মৃত্যু হওয়া উচিত।”
|