|
|
|
|
দাসেরবাঁধ কঙ্কাল মামলায় চার্জগঠন হবে আগামী ১০ মে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দাসেরবাঁধ কঙ্কাল মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হল ১০ মে। ওই দিন চার্জগঠন হবে। ইতিমধ্যে এই মামলায় চার্জগঠনের শুনানি শুরু হয়েছে। গত ১৯ মার্চ সওয়াল করেছিলেন সরকারপক্ষের আইনজীবী শক্তি ভট্টাচার্য এবং রাজদীপ মজুমদার। তাঁরা জানিয়েছিলেন, এ ক্ষেত্রে ঠিক কী কী অভিযোগ রয়েছে, কী ভাবে পুরো ঘটনাটি ঘটেছে। শুক্রবার সওয়াল করেন অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ শাহিদ ইমাম এবং রানা গঙ্গোপাধ্যায়। তবে অভিযুক্তপক্ষের সওয়াল এ দিন শেষ হয়নি। মেদিনীপুরের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অভিজিৎ সোমের এজলাসে মামলাটি চলছে। আদালত সূত্রে খবর, শুনানির পরবর্তী দিন অর্থাৎ, ১০ মে শুরুতে সওয়াল করবেন অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী। তারপরই চার্জগঠন হবে। |
মেদিনীপুর আদালতে সুশান্ত ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র। |
প্রসঙ্গত, রাজ্যে পালাবদলের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা গড়বেতার বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের আদি বাড়ি বেনাচাপড়ার অদূরে দাসেরবাঁধ থেকে মাটি খুঁড়ে হাড়গোড় মেলে। তার প্রেক্ষিতে এই মামলা। অভিযোগ, ২০০২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ৭ তৃণমূল কর্মীকে খুন করেছিল সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনী। হাড়গোড়গুলি সেই নিহতদের। শুক্রবার নির্দিষ্ট সময়েই আদালতে চলে আসেন গড়বেতার বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ সহ জামিনে-মুক্ত ১৮ জন। জেলবন্দি দু’জনকেও আদালতে হাজির করা হয়। ইতিমধ্যে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন সুশান্তবাবু। ঘটনাচক্রে শুক্রবারই হাইকোর্টে ওই আবেদনের শুনানির দিন ছিল। এ দিন মামলার শুরুতে আদালতের কাছে বিষয়টি জানান অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীরা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, হাইকোর্টে কী হয়, তা দেখেই মামলা এগোনো উচিত। পরে সরকারপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক জানান, বেলা দু’টো থেকে শুনানি শুরু হবে। এদিকে, হাইকোর্টেও এ দিন ওই শুনানি শেষ হয়নি। মামলার পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে আগামী ২২ এপ্রিল। ফলে, বেলা দু’টো নাগাদ মেদিনীপুর আদালতে মামলার শুনানি শুরু হয়।
আগে এই আদালতেও মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন দেবাশিস পাইন, শেখ আরফিন নামে দুই অভিযুক্ত। এদিন দেবাশিসবাবুর আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, “আমরা মক্কেল দাসেরবাঁধের ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নন। তাঁর কথায়, “এ ক্ষেত্রে মিথ্যে মামলা রুজু করা হয়েছে। দেবাশিস পাইন হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন। এক সময় তিনি মন্ত্রীর আপ্ত-সহায়ক ছিলেন ঠিকই। তবে পরে তাঁর সঙ্গে দলের (সিপিএমের) দূরত্ব তৈরি হয়। দল থেকে আমার মক্কেলকে সরিয়ে দেওয়া হয়।” শেখ আরফিনও ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত নন বলে আদালতে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী।
শুক্রবার মেদিনীপুর আদালত চত্বরে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে প্রত্যাশিত ভাবেই তিনি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। রাজ্য সরকার নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছে বলেও নিজের বক্তব্যে ইঙ্গিত দেন সুশান্তবাবু। কিন্তু, কেন? গড়বেতার বিধায়কের কথায়, “হতে পারে এখনই নির্বাচন হলে ওদের (তৃণমূলের) অন্তর্কলহ সামাল দেওয়া কঠিন হবে। যার প্রভাব লোকসভা নির্বাচনেও পড়বে।”
|
পুরনো খবর: অবশেষে শুনানি শুরু চার্জগঠনের |
|
|
|
|
|