এক মহিলার ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি এবং তার জেরে চুঁচুড়ার এক যুবক বৃহস্পতিবার আত্মঘাতী হন এমনই ছিল তাঁর পরিবারের লোকজনের দাবি। সেই ঘটনার জেরে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে চুঁচুড়া থানার দুই অফিসারকে শুক্রবার পুলিশ লাইনে ‘ক্লোজ’ করা হল। থানার আইসি-র বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিলেন হুগলির পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী।
গত ১২ এপ্রিল চুঁচুড়ার রায়বাজার কলোনির এক গৃহবধূকে তাঁরই প্রতিবেশী নান্টু কর্মকার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এর পরেই ওই বধূর পরিবারের সদস্যরা পুলিশের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানায়। কিন্তু ঘটনার লিখিত নির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকার অজুহাতে পুলিশ বিষয়টির স্রেফ একটি ডায়েরি করে। এরপর অভিযুক্তকে পুলিশ অন্য মামলায় গ্রেফতারও করে। কিন্তু সে জামিন পেয়ে যায়। অভিযোগ, জামিন পাওয়ার পরে ওই বধূর স্বামীকে হুমকি দিচ্ছিল নান্টু। |
আত্মহত্যার বিষয়টি জানাজানি হতেই বৃহস্পতিবার সকালে ফুঁসে ওঠেন এলাকার মানুষ। থানায় বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের বিরুদ্ধে কাজে গাফিলতির অভিযোগও তোলেন তাঁরা। হুগলির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) তথাগত বসু ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেন। রাতেই অভিযুক্ত নান্টকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আগেই নান্টুর মা এবং বোনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃতদের শুক্রবার চুঁচুড়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাদের ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এ দিন আদালত চত্বরে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ পরিস্থিতি সামল দেয়।
পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “সে দিনের ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির জন্য চুঁচুড়া থানার এক এসআই এবং এক এএসআই-কে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইসি-সহ অন্য অফিসারদের ভূমিকা নিয়েও বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।”
|