|
|
|
|
জমি বিল নিয়ে নতুন আপত্তি বামেদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
এক বার তাঁরা দাবি তুলছেন, জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে বর্গাদারদেরও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এক বার কার্যত অসম্ভব জেনেও বেসরকারি শিল্প সংস্থার জন্য অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে একশো শতাংশ কৃষকেরই সম্মতির দাবি জানাচ্ছেন। এ বার বামেদের নয়া দাবি, সরকারি প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণ করলেও অন্তত কিছু শতাংশ জমির মালিকের সম্মতি নিতে হবে। এই ‘কিছু শতাংশ’টা ঠিক কত শতাংশ হবে, তা নিয়ে তাঁরা সরকারের সঙ্গে দরাদরি করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য সীতারাম ইয়েচুরি।
ফলে জমি বিল নিয়ে বাম তথা সিপিএমের অবস্থানটা আসলে কী? দু’দিন আগেই জমি বিল নিয়ে সিপিএম নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। সেখানে সিপিএম দাবি তোলে, জমির মালিকদের পাশাপাশি জমির উপর নির্ভরশীল বর্গাদার, ভাগচাষিদেরও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, শুধু পুনর্বাসন দিলে চলবে না। সেই দাবি কেন্দ্র মেনেও নেয়। একশো শতাংশ কৃষকের সম্মতির প্রশ্নে জয়রাম জানিয়ে দেন, এই দাবি মানা সম্ভব নয়। সিপিএমের মধ্যেও এ নিয়ে মতভেদ ছিল। ফলে কেন্দ্র যখন এ ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ মালিকের সম্মতির কথা বলেছে, তখন সিপিএম-ও তার জোরালো বিরোধিতা করতে চায় না।
তা হলে নতুন আপত্তি তোলা হচ্ছে কেন? বাম নেতাদের যুক্তি, জমি বিল নিয়ে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে বলে ভুল ধারণা তৈরি করা হচ্ছে। আজ এ কে গোপালন ভবনে চার বাম দলের বৈঠকের পরে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, তাঁরা এই জমি বিলের বিরুদ্ধে। তাঁদের দাবি, বিলটি ফের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বা যৌথ সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হোক। আগের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে যে বিল নিয়ে আলোচনা হয়েছে, নতুন বিলটি তা থেকে আলাদা। সব জমি অধিগ্রহণ আইনকে এই বিলের আওতায় আনা হয়নি।
|
পুরনো খবর: সব চাষির সম্মতির দাবি, অবাক আলিমুদ্দিন |
|
|
|
|
|