ধর্ষণ করেই খুন শিশুকে, বলছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট |
শেষ পর্যন্ত মা-বাবার অভিযোগটাই সত্যি হল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের ছ’বছরের শিশুটিকে ধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার শিশুটির বাবা-মা যখন আলিগড়ের বান্না দেবী থানায় গিয়েছিলেন এফআইআর করতে, তখন পুলিশ তাঁদের কথা শুনতে চায়নি। উল্টে সিনিয়র পুলিশ সুপার অমিত পাঠক বলেছিলেন “আপনি কি দেখেছেন আপনার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে?” শুধু এটুকুই নয়। প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে শিশুটির মায়ের পিঠে পড়েছিল পুলিশের লাঠি। অবশেষে শুক্রবার আলিগড়ের ডিআইজি জানিয়েছেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তিনি আরও জানান সিনিয়র এসপি ঠিক কী বলেছেন সেটাও দেখা হবে। আলিগড়ের নাগলা কালার এলাকার ছ’বছরের ছোট্ট মেয়েটি নিখোঁজ হয়েছিল বুধবার রাত থেকেই। পরের দিন সকালে তার দেহ মেলে একটি আস্তাকুঁড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। দিল্লি-আলিগড় রোড অবরোধ করেন। বিক্ষোভকারীদের হটাতে শূন্যে গুলিও চালায় পুলিশ। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় মহিলা প্রতিবাদকারীদের উপর লাঠি চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনায় দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন সকলে। প্রশ্ন উঠেছিল মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের ভূমিকা নিয়েও। কংগ্রেসের নেত্রী রীতা বহুগুণা জোশী বলেন, “যা হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। সরকারের উচিত পুলিশের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা।”
|
জঙ্গি ও পুলিশের সংঘর্ষে এক পুলিশ ইনস্পেক্টর, দুই জঙ্গি ও এক গ্রামবাসীর মৃত্যু হল। ঘটনাটি ঘটেছে উজানি অসমের তিনসুকিয়া জেলায়। তিনসুকিয়ার জেলাশাসক এস এস মীণাক্ষিসুন্দরম জানান, ডুমডুমার কাছে বাঘজান-করদুইগুড়ি গ্রামে পরেশপন্থী আলফার কট্টর জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়েছে বলে পুলিশের কাছে খবর ছিল। জঙ্গিরা যে বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল তার কাছাকাছি আসতেই সতর্ক জঙ্গিরা কম্যান্ডোদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। তখনই সোনোয়াল গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশবাহিনীও পাল্টা গুলি চালাতে থাকে। গুলি লেগে ওই ঘরে রাখা সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ হয়। দুই জঙ্গিও মারা যায়। এসপি পি পি সিংহ জানান, নিহত জঙ্গিদের নাম রক্তজিৎ হাজরিকা ও অনন্ত মোরান। দুই পক্ষের গুলির লড়াইয়ের মধ্যে পড়ে পুনা মরাণ নামে এক গ্রামবাসীও মারা যান। এর জেরে গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একটি অ্যাম্বুলেন্স-সহ তিনটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের সন্দেহ, নিহত ওই গ্রামবাসী আলফার লিংকম্যান ছিলেন। জখম সোনোয়ালকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, তার আগেই তিনি মারা যান।
|
এক বন্ধ না মিটতেই, ফের দু’দিন ব্যাপী ধর্মঘটের মুখে পড়ল মণিপুরবাসী। ইঞ্জিনিয়ার মহম্মদ সানার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে মণিপুরে অনির্দিষ্টকাল বন্ধ চলছিল। বন্ধের জেরে গত ২৪ ঘণ্টায় বেশ কিছু গাড়ি ভাঙা হয়েছে। পুলিশ ও প্রতিবাদকারীদের খণ্ডযুদ্ধে দুই প্রতিবাদকারী গুলিবিদ্ধ হন। কিছু পুলিশ ও সাংবাদিক লাঠি-পাথরের ঘায়ে জখম হন। গত কাল বিকেলে যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি, কৃষিমন্ত্রী মহম্মদ নাসির ও দুই পরিষদীয় সচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এর পরে রাজ্যের প্রধান সচিব ঘটনাটি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন। ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ার আশ্বাস পেয়ে বন্ধ প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু প্রত্যাহারের আগেই এক ট্রাক চালককে হত্যা ও ট্রাকে আগুন লাগানোর জেরে ফের মধ্য রাত থেকে শুরু হয়েছে যৌথ মঞ্চের ডাকা বন্ধ। একই সঙ্গে পরিবহণ সংগঠনগুলি রাজ্যে ২৪ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দিয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত ১৭ এপ্রিল রাতে। সদর হিলের চাহোই পানডোংবায় নাগা জঙ্গিরা দু’টি ট্রাকে আগুন লাগায়। মারা যান এক ট্রাকচালক। এর পরে, গত কাল যৌথ মঞ্চ গড়া হয়। রাত থেকে শুরু হয় বন্ধ। রক্ষীদের কনভয় থাকা সত্ত্বেও রাতে কী ভাবে দুই ট্রাকে হামলা চলল তা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেনউপ-মুখ্যমন্ত্রী গাইখংবাম। পুলিশের বক্তব্য, রক্ষীদের গাড়ি মাঝপথে খারাপ হওয়ায় প্রহরীহীন অবস্থাতেই ট্রাক দু’টি এগিয়ে যায়। এ দিকে, নাগাল্যান্ডে নাগা জঙ্গিরা দুই শিক্ষককে অপহরণ করেছে। নাগাল্যান্ড শিক্ষক সংগঠনের দাবি, এনএসসিএন (আইএম) জঙ্গিদের চাহিদা মতো প্রতিমাসে বেতনের ২৪ শতাংশ তোলা না দেওয়ার জন্যই তাঁদের অপহরণ করা হয়। অবিলম্বে শিক্ষকদের মুক্তি না দিলে ২৪ এপ্রিল থেকে বন্ধ ডাকার হুমকি দিয়েছে শিক্ষক সংগঠন।
|
ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে দুই মোটরবাইক আরোহীর। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ধুবুরি জেলার আগমনি থানার ৩১ নং জাতীয় সড়কে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম সিরাজুল হক (৩৬) এবং খয়বর আলি (৫৫)। খেরবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা দুই ব্যক্তি মোটরবাইকে চেপে ধুবুরি থেকে বাড়ি ফিরছিল বলে জানা গিয়েছে। উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের ধাক্কা মারে। চালক সমেত ট্রাকটিকে আটক করেছিল পুলিশ। |