স্নাতকোত্তরে ৬০ শতাংশ আসনে নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং বাকি আসনে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ভর্তিতে সায় নেই যাদবপুরের। রাজ্য সরকারকে সে-কথা জানিয়েও দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ। কিন্তু যাদবপুরও যাতে ওই পদ্ধতিতেই স্নাতকোত্তরে ছাত্র ভর্তি করে, বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখে সেই আবেদন জানাবে রাজ্য উচ্চশিক্ষা সংসদ। শুক্রবার সংসদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৫ শতাংশ আসনে সেখানকার ছাত্রছাত্রী এবং বাকি আসনে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ভর্তি করা হত। রাজ্য সরকারের নতুন নিয়মে গত বছর থেকে সেই অনুপাত বদলে হয়েছে ৬০-৪০। অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয় এই নিয়ম মেনে নিলেও যাদবপুর তা মানতে চায়নি। গত বছর এই নিয়ম চালু হওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সে-বার কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বছর কী করা হবে, তা ঠিক করতে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি গড়েন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ওই কমিটি কলা ও বিজ্ঞানের ১৯টি বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছে। এক কর্তা জানান, সব বিভাগের প্রধানই এতে আপত্তি জানান। প্রধানদের দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, অনেক বিভাগে এমনিতেই ৪০-৫০ শতাংশ আসনে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হন। তাই স্নাতকোত্তরে ছাত্রভর্তিতে আলাদা করে ৬০-৪০ অনুপাত চালু করার প্রয়োজন নেই বলে বিভাগীয় প্রধানেরা জানান। এগ্জিকিউটিভ কাউন্সিলে আলোচনা করেও এই সিদ্ধান্তই নেন বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ।
উচ্চশিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সুগত মারজিত্ শুক্রবার জানান, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় মেনে নিলেও যাদবপুর ৬০-৪০ অনুপাত মানছে না। যাদবপুরও যাতে এই পদ্ধতি মেনে ছাত্র ভর্তি শুরু করে, সেই জন্য সংসদের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হবে। সংসদের সদস্য হিসেবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যেরাও এই আবেদন করবেন বলে সুগতবাবু জানান।
ইসি-তে আলোচনা না-করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
|