টুকরো খবর
তালা কেটে দোকানে লুঠ
সকালে দোকান খুলতে এসে হতবাক মালিক। দরজা বন্ধ, তাতে তালাও ঝুলছে। কিন্তু তালায় হাত দিতেই তা খুলে গেল। কারণ, প্রতিটি তালাই নিপুণ ভাবে কেটে ফের ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এই অবস্থা দেখে তাড়াতাড়ি দোকানের দরজা খুলে দেখা গেল আলমারি, শোকেস লণ্ডভণ্ড। উধাও লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না ও কয়েক হাজার টাকা। শুক্রবার এমনই দুঃসাহসিক চুরি হল দমদম রোড এলাকায়। পুলিশ সূত্রের খবর, দমদম রোডের ছাতাকল এলাকায় ওই সোনার দোকানের মালিক জগন্নাথ রায় এ দিন দোকান খুলতে এসে দেখেন শাটার বন্ধ এবং প্রায় প্রতিটি তালাই কাটা রয়েছে। শাটার তুলে তিনি দেখেন দোকানের আলমারির লকার ভাঙা, শোকেসের গয়নার বাক্সগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। খোয়া গিয়েছে সোনা ও টাকা। নাগেরবাজার জুয়েলার্স ওনার্স ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন-এর সহ-সম্পাদক অরিন্দম রায় বলেন, “১১ মাস আগেও একই ভাবে এলাকার আর একটি সোনার দোকানে চুরি হয়েছিল। আজও তার কিনারা হয়নি। এলাকায় পুলিশের টহলদারি ভ্যান তেমন চোখেই পড়ে না।” পুলিশের এক কর্তা বলেন, “আগের তুলনায় টহলদারি ভ্যানের সংখ্যা বেড়েছে। চুরি-ডাকাতির সংখ্যাও কমেছে। যতটা সম্ভব সব দিকে নজর রাখার চেষ্টা করা হয়।”

শৌচাগারের জানলা থেকে পড়ে মৃত্যু রোগীর
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তিন তলার শৌচাগারের জানলা থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক রোগীর। ঘটনাটি শুক্রবার সকালের। শাহজাদ মোল্লা (৬৫) শ্বাসকষ্ট নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি হন। পুলিশ জানায়, পুরুষদের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর থানার পূর্ব রানাঘাটের বাসিন্দা শাহজাদ। শুক্রবার সকাল ৭টা নাগাদ ছেলে নাসিরুদ্দিন তাঁকে শৌচাগারে নিয়ে যান। ছেলে যখন বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখনই ভিতরে ঢুকে জানলা থেকে ঝাঁপ দেন শাহজাদ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশের অনুমান, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর পরিজনেরা জানান, তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। জানা গিয়েছে, জানলার খানিকটা অংশে গরাদ ছিল না। নাসিরুদ্দিনের অভিযোগ, রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে মাথা ঘামান না হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষ। জানলায় গরাদ থাকলে এমন ঘটনা ঘটত না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, জানলা অনেক উঁচুতে। কী ভাবে ওই রোগী জানলায় উঠলেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রতারকদের জেল হেফাজত
রেলে চাকরির নাম করে টাকা তোলার অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের মণিপ্রকাশ ত্রিপাঠী-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। শুক্রবার তাদের মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়। উত্তরপ্রদেশের মণিপ্রকাশ ও খড়্গপুর লোকাল থানার মাদপুরের বাসিন্দা মানিক ঘোষ ও খড়্গপুর শহরের ইন্দা এলাকার দিগন্ত দাসকেও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অভিযোগ, তারা রেলের চতুর্থ শ্রেণির পদে চাকরির নাম করে বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। উত্তরপ্রদেশেরই দুই যুবক প্রতারিত হওয়ায় তাঁরাই খড়্গপুর লোকাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর পর পুলিশ বৃহস্পতিবার খড়্গপুরের দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকেই পুলিশ জানতে পারে মূল অভিযুক্ত মণিপ্রকাশ ওই দিনই লখনউ এর উদ্দেশে পালিয়েছে। প্লেনেও উঠে পড়েছিল মণিপ্রকাশ। সিআইএফের সাহায্যে প্লেন থেকে নামিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, এই চক্রের সঙ্গে আরও অনেকে যুক্ত থাকতে পারে।

পুরনো খবর:
ইকবাল-কাওয়ের পদত্যাগের দাবি, বিক্ষোভ
খুনের অভিযোগে বিচারাধীন দুই তৃণমূল কাউন্সিলর মহম্মদ ইকবাল ও শম্ভুনাথ কাওয়ের পদত্যাগের দাবিতে শুক্রবার বিক্ষোভ দেখালেন পুরসভার বাম কাউন্সিলরেরা। বিরোধী দলনেত্রী রূপা বাগচীর নেতৃত্বে ওই কাউন্সিলরেরা চেয়ারম্যান সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্মারকলিপি দেন। রূপাদেবীর বক্তব্য, “৫৮ ও ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শম্ভুনাথ ও ইকবাল খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত। জনপ্রতিনিধি হিসেবে শপথ নিতে গিয়ে বলতে হয় সংবিধান মেনে চলব। ওঁদের জন্য পুরসভা কলঙ্কিত। অবিলম্বে ওঁদের পদত্যাগ করতে বলা হোক।” সচ্চিদানন্দবাবু বলেন, “পুর-প্রশাসন আইন মোতাবেক চলবে। বিরোধীদের বক্তব্য কমিশনার ও মেয়রকে জানাব।”

পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা
গাড়ি সরবরাহ করবেন বলে আশ্বাস দিয়ে টাকা নিয়েছিলেন। পরিচয় দিয়েছিলেন, তিনি পুলিশের লোক। কিন্তু গাড়ি দিতে না-পারায় প্রতারণার অভিযোগে অরিন্দম ধর নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, বাঁশদ্রোণীর এক বাসিন্দা লালবাজারে গোয়েন্দা বিভাগের অভিযোগ, পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে অরিন্দম তাঁর কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছেন।

লালদিঘিতে ডুবে মৃত প্রৌঢ়
স্নান করতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ, হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকায়। পুলিশ জানায়, এ দিন বছর ষাটের ওই প্রবীণ বি বা দী বাগের লালদিঘিতে স্নান করতে গিয়েছিলেন। তাঁকে ডুবে যেতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।

আনিসুর-মামলা
আলিপুর আদালতে সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করেছিলেন আইনজীবী শুভাশিস চক্রবর্তী। সেই মামলা খারিজ করে দেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে পাল্টা মামলা করেন আনিসুর। বিচারপতি তরুণ গুপ্ত শুক্রবার আলিপুরের মামলাটির শুনানির উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, হাইকোর্টে এই মামলা শেষ না-হওয়া পর্যন্ত আলিপুরের মামলাটির শুনানি হবে না। আলিপুর আদালতে শুভাশিসবাবুর অভিযোগ ছিল, আনিসুর উত্তরবঙ্গের একটি সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করতে গিয়ে এমন কিছু কথা বলেছেন, যা উস্কানিমূলক। এই ধরনের উক্তিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলেই তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে।


মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা দেখতে শুক্রবার মহাকরণে আসেন তাঁর চিকিৎসক সুব্রত মৈত্র (ডান দিকে)। সঙ্গে আসেন আরও দুই চিকিৎসক, সুবীর মণ্ডল ও স্মরজিৎ নস্কর। তাঁরা বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিলেও মুখ্যমন্ত্রী রাজি হননি। বেরিয়ে যাওয়ার সময় সুব্রতবাবু বলেন, “ব্যথা এখনও রয়েছে। হাতজোড় করে বলেছি বিশ্রাম নিতে। কিন্তু উনি রাজি নন। কী করবেন, রাজ্যের দায়িত্ব ওঁর উপর। অন্তত দু’সপ্তাহ বিশ্রাম নেওয়া দরকার ছিল।” শুক্রবার সুদীপ আচার্যের তোলা ছবি।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.