টুকরো খবর
৬০% আসনে নিজেদের ছাত্র নেবে কলকাতা
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরে ৬০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে তাদের অধীন কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্য। বাকি ৪০ শতাংশ আসনে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ভর্তি হতে পারবেন। প্রথম ৬০ শতাংশ আসনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে-সব ছাত্রছাত্রী ভর্তি হতে পারবেন না, তাঁরাও বাকি আসনের প্রতিযোগিতায় সামিল হতে পারবেন। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি বছর থেকেই এই পদ্ধতি মেনে স্নাতকোত্তরে ছাত্র ভর্তি হবে বলে জানান উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। এত দিন স্নাতকোত্তরের ৯৫% আসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজের পড়ুয়া ও বাকি ৫% আসনে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ভর্তি হতে পারতেন। কিন্তু রাজ্য সরকার সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়কে জানিয়েছে, সংরক্ষণের এই পদ্ধতি বদলে ৬০% আসনে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজের পড়ুয়াদের এবং ৪০% আসনে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হোক। সুরঞ্জনবাবু সোমবার বলেন, “৪০% আসনে শুধুই অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা নয়, আমাদের কলেজগুলির ছাত্রছাত্রীরাও ভর্তি হতে পারবে। ওএমআর পদ্ধতি, মৌখিক, নাকি লিখিত পরীক্ষা কোন বিভাগ কোন পদ্ধতিতে ওই সব আসন পূরণ করবে, তা জানতে চেয়ে বিভাগীয় প্রধানদের কাছে চিঠি লেখা হবে।” উপাচার্য জানান, এই পদ্ধতিতে ছাত্র ভর্তি হয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

সরানো হবে শিক্ষককে
ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত বিহারীলাল কলেজের বাংলার শিক্ষক ইন্দুভূষণ মণ্ডলের সাসপেনশনের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে গত এপ্রিলে। তদন্ত কমিশনের সুপারিশ মেনে এ বার তাঁকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হবে বলে সোমবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। ২০০৭-এর নভেম্বর মাসে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানান এক ছাত্রী। সেই অভিযোগের তদন্তে তিনটি কমিশন গড়া হয়। তৃতীয়টি ছিল এক সদস্যের কমিশন। সেটির সদস্য ছিলেন হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রণজিৎ মিত্র। কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়, ওই শিক্ষক ক্ষমা চাইলে তাঁকে তাঁর বিভাগ থেকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হোক। ইন্দুভূষণবাবু নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন বলে তাঁকে চাকরিতে ফেরানো হবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাঁকে আরও কঠিন শাস্তি দেওয়া হল না কেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেই। কর্তৃপক্ষ সেই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি।

দুই পুরকর্মী সাসপেন্ড
দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে সোমবার দুই অফিসারকে সাসপেন্ড করল পুরসভা। পুর-কর্তৃপক্ষ জানান, ওই দুই অফিসারের নাম ইন্দ্রজিৎ সাহা ও অভিষেক রায়। ইন্দ্রজিৎবাবু অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসেসি অফিসার। অভিষেকবাবু ইনস্পেক্টর পদে আছেন। পুরসভা সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে পুরসভার ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা মেয়রকে একটি লিখিত অভিযোগে জানান, ওই এলাকায় একটি পুকুরকে বাড়ি হিসেবে দেখিয়ে মিউটেশন করা হয়েছে। এর সঙ্গে একটি দালাল চক্র ও পুরকর্মীদের একাংশ জড়িত বলেও অভিযোগ ওঠে। এর পরেই মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় তদন্তের নির্দেশ দেন। সোমবার তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিয়ে দুই অফিসারকে সাসপেন্ডের সুপারিশ করে। পুরসভা সূত্রের খবর, দালালেরা নিজেদের জমির মালিকের নিকটাত্মীয় বলে পরিচয় দিয়ে মিউটেশন করায়। এই অভিযোগ পাওয়ার পরে মেয়র এ দিন নির্দেশ দেন, এ বার থেকে মিউটেশন করতে জমি-বাড়ির মালিক সরাসরি না এসে যদি অন্য কাউকে পাঠান, তাঁর সচিত্র পরিচয়পত্রে স্বাক্ষর করে অনুমোদন করে দিতে হবে।

রায়ের আগে শাস্তি নয় পুরপ্রধানকে
একটি পুরসভার চেয়ারম্যান অন্য পুরসভার কর্মী। কিন্তু তাঁর ছুটি মঞ্জুর করছে না পুরসভা। উল্টে শাস্তির হুমকি দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছেন কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান সিপিএম নেতা তমাল দে। তিনি ভাটপাড়া পুরসভার কর্মী। উচ্চ আদালত সোমবার জানিয়েছে, মামলা চলাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। তমালবাবু আদালতে জানান, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তিনি বিনা বেতনে দু’বছরের ছুটি নিয়েছিলেন। সেই ছুটি গত ৩০ জুন শেষ হয়েছে। তার পরে তিনি নিয়মবিধি মেনেই ফের বিনা বেতনের ছুটির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিংহ ছুটি মঞ্জুর করেননি। পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাজে যোগ না-দিলে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এ দিন ভাটপাড়া পুরসভাকে দু’সপ্তাহের মধ্যে তাদের বক্তব্য জানিয়ে হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

ফের হাজতে মহেশ্বরীর স্বামী-জামাই
জামিনের আবেদন খারিজ। আর্থিক অনিয়মের মামলায় প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ সরলা মহেশ্বরীর স্বামী অরুণ মহেশ্বরী এবং তাঁদের জামাই অমিতাভ কেজরিওয়ালকে ফের ১৪ দিনের জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগের দফায় ১০ দিনের জেল-হাজতের মেয়াদ শেষে সোমবার বিধাননগর এসিজেএম আদালতে তোলা হয় দুই অভিযুক্তকে। সিআইডি-র দাবি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সই জাল করা ছাড়াও বেশ কিছু আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। আদালত সূত্রের খবর, গত বুধবার ওই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত পীযূষ দাগাকে গ্রেফতার করে সিআইডি। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়। আদালত তাঁকে দু’দিন সিআইডি-র হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। শনিবার পীযূষকে ফের আদালতে আনা হলে বিচারক তাঁকে জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ওই দিনই বিচারকের কাছে গোপনে জবানবন্দি দেওয়ার আর্জি জানান পীযূষ। সোমবার পীযূষকে ফের আদালতে হাজির করা হলে বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন তিনি।

গঙ্গায় পড়ে মৃত্যু
লঞ্চ থেকে হুগলি নদীতে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃতের নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায় (৪৬)। বাড়ি হাওড়ার কদমতলায়। পুলিশ ও হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সংস্থা জানায়, সোমবার দুপুরে বাগবাজার থেকে হাওড়াগামী একটি লঞ্চ থেকে পার্থবাবু পড়ে যান। শোভাবাজার ঘাটের কাছে কিছু যুবক তাঁকে উদ্ধার করে ওই লঞ্চেই তুলে দেন। পরে হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নয়া পুর কমিশনার
কলকাতা পুরসভার নতুন কমিশনার হচ্ছেন রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সচিব খলিল আহমেদ। বর্তমান পুর কমিশনার অর্ণব রায় যাচ্ছেন স্কুলশিক্ষা দফতরের সচিব-পদে। স্কুলশিক্ষা সচিব বিক্রম সেন হচ্ছেন পর্যটন, সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা সচিব। পর্যটনসচিব রাঘবেন্দ্র সিংহ হচ্ছেন বর্ধমান ডিভিশনের কমিশনার। ইএসআই-এর বর্তমান অধিকর্তা পিবি সেলিম সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের যুগ্মসচিব হচ্ছেন।

মাথায় হেলমেট মেরে রক্তপাত
রাস্তায় ‘নো এন্ট্রি’ থাকা সত্ত্বেও ঢুকে পড়েছিলেন এক ঠেলাওয়ালা। তা নিয়ে বচসার জেরে এক কনস্টেবল হেলমেট দিয়ে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে ব্রেবোর্ন রোডের পাসপোর্ট অফিসের কাছে। ট্রাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, ব্রেবোর্ন রোডে ওই সময় ঠেলাগাড়ি, রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ। মোহন সাউ নামে ওই ঠেলাওয়ালা সেই রাস্তায় ঢুকে পড়ায় ভীম মণ্ডল নামে এক কর্তব্যরত কনস্টেবল তাঁকে ধরেন। শুরু হয় তর্কাতর্কি। অভিযোগ, মোহন কটু কথা বলায় ওই কনস্টেবল হেলমেট দিয়ে তাঁর মাথায় মারেন। সুরেন্দ্রকুমার দাগা নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “বচসা হচ্ছে দেখে এগিয়ে যাই। তখনই কনস্টেবল হেলমেট দিয়ে ঠেলাওয়ালার মাথায় মারল।” প্রত্যক্ষদর্শীরাই মোহনকে নিয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মোহনকে পাঠানো হয় হাসপাতালে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঠেলাওয়ালা, রিকশাচালকদের কাছ থেকে টাকা তুলতে গিয়ে পুলিশ প্রায়ই তাঁদের হয়রান করে।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.