এসএফআই নেতা সন্তোষ সাহানির পায়ের বেড়ি খোলানো হয়েছে। কিন্তু পরেও অন্য মামলায় অভিযুক্ত আরও ৩ বন্দিকে একই ভাবে আটকে রাখার আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। বৃহস্পতিবার গৌতমবাবু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ওই তিন বন্দির পায়ে বেড়ি লাগিয়ে রাখার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন। ওই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান গৌতমবাবু চিকিৎসাধীন পুরুষ ও মহিলা বন্দিদের রাখার জন্য দু’টি পৃথক ঘরের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। দু’টি আলাদা ঘর ফাঁকা করার কাজ শুরু হয়েছে। হাসপাতালের জেলরক্ষীদের কাছ থেকে সব কটি হাতকড়াও ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন শিলিগুড়ি জেল কর্তৃপক্ষ।
এ দিন হাসপাতালে অফিসার-চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকের পরে গৌতমবাবু জানান, সন্তোষ সাহানির পায়ে বেড়ি দেওয়ার ঘটনা জেনে সঙ্গে সঙ্গেই তা খোলার ব্যবস্থা করিয়ে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য। কোনও বন্দিকে ওই ভাবে রাখা যাবে না বলে সতর্কও করা হয়। তিনি বলেন, “তাও তিন জনকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বেড়ি পরিয়ে রাখার আড়ালে কে বা কারা তা জানা দরকার। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হচ্ছে। এর পিছনে রাজ্য সরকারের মানবিক ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দিতে পারছি না। সবই দেখা হবে।” সিপিএমের তরফে অবশ্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী নিজেদের দোষ ঢাকতে মিথ্যে অভিযোগ করছেন বলে দাবি। প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোকবাবুর অভিযোগ, “সরকার মানবিক কি না, তা পরপর পায়ে বেড়ি পরানোর ঘটনাতেই মানুষ বুঝতে পারছেন।”
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের খবর, শিলিগুড়িতে সিপিএম-তৃণমূলের সংঘর্ষের ঘটনার পরে ধৃত সন্তোষকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় গত সোমবার। মঙ্গলবার সকালে তাঁর পায়ে বেড়ি দেখে হইচই পড়ে। সমালোচনার মুখে পড়ে জেল কর্তৃপক্ষ তা খুলে দেন। পর দিনই ওই হাসপাতালে দেখা যায়, কালিম্পংয়ের বাসিন্দা শৈলেশ ডার্নাল, দুর্গাপুরের হাজি আবু বক্কর, তেতুঁলিয়ার আব্দুল সামাদ এই তিন চিকিৎসাধীন বন্দির পায়ে বেড়ি পরিয়ে রাখা হয়েছে। |