বামেদের হারিয়ে জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতি দখল করল তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার পুরসভার প্রয়াস হলে নির্বাচন হয়। শুরু থেকে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বামেদের দখলেই ছিল জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল কোঅপারেটিভ সোসাইটি। পরিচালন সমিতির ন’টি আসনের মধ্যে চারটিতে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। দুটি আসনে কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী জিতেছেন। তিনটি ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। ওই তিনটিতেও জেতেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা।
মোট ৩৫৫টি কোঅপারেটিভ সোসাইটি পরিচালন কমিটির নির্বাচনে অংশ নেয়। ভোটে জিতে তৃণমূল নেতা সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করার লক্ষ্যে কাজ করব। বাম আমলের দুর্নীতিগ্রস্তদের খুঁজে বার করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে।” বামফ্রন্টের পক্ষে ফব’-এর জেলা সম্পাদক প্রবাল রাহা বলেন, “সমবায় আন্দোলন ও রাজনীতি আলাদা। রাজনীতিকে এর সঙ্গে যুক্ত করা মানে সমবায় আন্দোলনের মূলে আঘাত করা। যা বাঞ্ছনীয় নয়।” এ দিন জেতার পর তৃণমূল কর্মীরা আবির খেলায় মেতে ওঠেন। জলপাইগুড়িতে বিজয় মিছিলও হয়।
এ দিন মাল-মেটেলি-নাগরাকাটা, মার্কেটিং কোঅপারেটিভ সোসাইটি এবং অন্যান্যগুলির প্রতিনিধিত্বের আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। অন্যান্য কোঅপারেটিভ সোসাইটিগুলির প্রতিনিধিত্বের আসনে জয়ী হন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী রতন দে। তিনি ৭৬ টি ভোট পেয়ে বাম সমর্থীত প্রার্থী সুভাশিষ দাসকে ১১ ভোটে হারন। মার্কেটিং কোঅপারেটিভ সোসাইটির প্রতিনিধি নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর কবির। তিনি চার ভোট পেয়ে বাম সমর্থিত প্রার্থী মিহির সেনগুপ্তকে এক ভোটে হারান। মাল-মেটেলি-নাগরাকাটার সোসাইটিগুলি থেকে নির্বাচিত হন বিগা ওড়াঁও। তিনি সাতটি ভোট পান। প্রতিদ্বন্দ্বী বাম প্রার্থী সুনীল ওড়াঁও পান পাঁচটি ভোট।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন জলপাইগুড়ি এবং হলদিবাড়ি থেকে কংগ্রেসের লুফর রহমান। রাজগঞ্জ থেকে আব্দুল রহিম। তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীদের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন ময়নাগুড়ি থেকে রবীন্দ্রনাথ অধিকারী, ধূপগুড়ি থেকে কমল চন্দ্র রায়, শিলিগুড়ির চারটি ব্লক থেকে অমর সিংহ। ইঞ্জিনিয়র্স অ্যান্ড ট্র্যান্সপোর্ট কোঅপারেটিভ থেকে জেতেন সুবীর অধিকারী। |